যুক্তরাষ্ট্র ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা তৈরির জন্য গোপন খামারগুলোতে লাখ লাখ মুরগির ডিম সংরক্ষণ করে রাখে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে তাদের এই ডিমগুলো কোনো কাজে আসছে না।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এই ডিমগুলো রাখা হয়। নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার লাখ লাখ ডলার খরচ করে। গোপন ফার্মে মুরগির পেটে বর্ধনশীল ডিমে ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু ইনজেক্ট করা হয়। মুরগি ডিম পাড়ার পর তা ল্যাবে আনা হয়। কিছুদিন পর ডিম থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়। ডিম থেকে ভ্যাকসিন তৈরির এই প্রক্রিয়ায় ছয় মাস সময় লাগে।
গত ৮০ বছর ধরে পৃথিবীর মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিনের জন্য মুরগির ডিমের ওপর নির্ভর করেছে। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে এই ডিম কাজে আসছে না। কারণ করোনার ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জার থেকে ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার অল্প কিছু কোম্পানির কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন ক্রয় করে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে। বিশেষ একটি মুরগির ফার্ম থেকে তিন বছর ডিম সংগ্রহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার দিয়েছে। এরকম ফার্ম অনেক আছে।
করোনা ভাইরাস মহামারি সৃষ্টির পর বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনার ক্ষেত্রে মুরগির ডিম কোনো কাজে আসবে না বলে জানালেন হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক জন নিকলস। অন্য ফ্লু এর মতো করোনা ভাইরাস ডিমের মধ্যে বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। একারণে অন্য পদ্ধতি নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা।