যুক্তরাষ্ট্রে এখন এমন কোনো অঙ্গরাজ্য নেই; যেখানে নোভেল করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। সোমবার ওয়াইয়োমিংয়েও এই ভাইরাসে একজন মারা গেছেন।
এক টুইটবার্তায় গভর্নর মার্ক গর্ডন বলেন, জনসন কাউন্টিতে আগে থেকেই রোগে ভোগা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।-খবর রয়টার্সের
তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি বাড়িতেই ঘরবন্দি ছিলেন। এই দুঃখজনক ঘটনা জনস্বাস্থ্য শৃঙ্খলায় গুরুত্বের বিষয়টিই আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে। শৃঙ্খলা ও নির্দেশনা মেনে চলে রাজ্যে মারাত্মক অসুস্থতা ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে পারবো।
ওয়াইয়োমিংয়ে ২৭০ জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মহামারীটি যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে কম ছড়িয়েছে এই রাজ্যটিতে। এছাড়া আলাক্সায় মাত্রা ২৭২ জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ হাজার ছড়িয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কর্মকর্তারা বলেন, সবচেয়ে খারাপ সময় পার হয়ে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এই মহামারী সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাতে পারে।
বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো দেশের তুলনায় কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
এখন পর্যন্ত দেশটিতে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার লোকের শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। সারা বিশ্বে যে সংখ্যাটা ১৮ লাখের মতো।
এই ভাইরাসে নিউইয়র্কে ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে জনসংখ্যাবহুল শহর নিউইয়র্কে ৮৪ লাখ মানুষের বাস।
সোমবার ওয়াইয়োমিং রাজ্যে থেকেও একজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। অর্থাৎ করোনার ছোবল থেকে এখন দেশটির কোনো একটি রাজ্যও মুক্ত নয়।
ভাইরাসটি রুখতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ‘ঘরে থাকার’ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এতে মার্কিন অর্থনীতি চাপে পড়ে গেছে।