করোনার কারণে কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করছে সরকার। তালিকা তৈরির কাজ শেষ হলেই ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি ফের চালু হবে।
যত দ্রুত সম্ভব তালিকা শেষ হলে চলতি মাসেই এ কর্মসূচি ফের শুরু করার টার্গেট নিয়ে কাজ করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের বিশেষ এই ওএমএস কর্মসূচি। এছাড়া সারা দেশে চালু আছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই দুই কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রি এবং কয়েকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়ে।
এছাড়া এসব চাল বিতরণ কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। চাল নিতে হুড়োহুড়ির অবস্থা তৈরি হয়। এসব কারণে ১৩ এপ্রিল ওএমএস কর্মসূচি স্থগিত করে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম যুগান্তরকে বলেন, বিশেষ ওএমএসের কারণে মানুষের ভিড় হতো, অনেক মানুষ একসঙ্গে জড়ো হতো।
সাধারণ শ্রমজীবী, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, হিজড়া, ভবঘুরেদের সহায়তার জন্য ওএমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজিদরের চাল দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। চালটা সঠিক ব্যক্তির হাতে পৌঁছাতেও হবে।
বিশেষ ওএমএস কর্মসূচিতে সামাজিক দূরত্ব না মেনে প্রচণ্ড ভিড় হতো। মানুষজন হুমড়ি থেয়ে পড়ত। আরও কিছু সমস্যার কারণে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করি। সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য নানা কৌশল নেয়া হচ্ছে। তালিকা তৈরির কাজ চলছে। জেলা প্রশাসকদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও খাদ্য বিভাগের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে এই তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা ধরেই চাল বিক্রি করা হবে।
কবে নাগাদ এই ওএমএস চালু হচ্ছে জানতে চাইল খাদ্য সচিব বলেন, তালিকা হয়ে গেলেই চালু করব। খুবই তাড়াতাড়ি শুরু করব আমরা। এ ছাড়া নতুনভাবে করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদনও লাগবে। সেটাও আমরা অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে শুরু করতে পারব। চাল তো আমাদের বরাদ্দ দেয়াই আছে।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এতে শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকার স্থলে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়ার ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী চালুও হয়েছিল। একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার ৫ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবে।