বিশ্বে ‘অতি ধনী’ মানুষের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এ অতি ধনীদের (আল্ট্রা ওয়েলদি) তালিকায় নতুন করে যোগ হয়েছে অন্তত ৩১ হাজার ব্যক্তির নাম।
বৈশ্বিক অর্থনীতি ও শেয়ার বাজারের মূল্য বৃদ্ধি এবং স্থাবর সম্পদের দামের উল্লম্ফন থেকে এসব ধনীদের মোট অর্থ বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া ধনী বা ‘আল্ট্রা হাই নেট ওয়ার্থ ইনডিভিজুয়ালস’র (ইউএইচএনডব্লিউ) সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ২৪৪ জনে।
অতি ধনী বলে তাদেরই বিবেচনা করা হয়, যাদের সম্পদের পরিমাণ তিন কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি। বাংলাদেশি টাকায় যাদের সম্পদ ২৫০ কোটি টাকার বেশি, তারাই অতি ধনী বলে বিবেচিত হন।
ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাঙ্কের এক রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
খবরে বলা হয়, সম্পদমূল্যের দিক থেকে শীর্ষ ধনীদের বলা হয় আল্ট্রা হাই নেট ইনডিভিজ্যুয়াল (ইউএইচডব্লিউআই)। আর কেউ কমপক্ষে ৩ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদের অধিকারী হলেই তাকে ‘অতি উচ্চ সম্পদমূল্যের ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
২০১৯ সালের শেষে এমন ধনীদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ৩১ হাজার জন। শুধু অতি উচ্চ সম্পদমূল্যের ব্যক্তিদের সংখ্যা নয় তাদের চাইতে একটু কম ধনী বা মিলিয়নিয়ারদের সংখ্যাও বেড়েছে। সাধারণত ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ডলার সমমানের সম্পদশালীরা এ কাতারে পড়েন।
সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত পরামর্শক সংস্থা নাইট ফ্রাঙ্কের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত বছর এমন ধনীদের সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ২৪৪ জনে।
এর মানে হল, এখন বিশ্বে অতি উচ্চ সম্পদমূল্য অধিকারী ব্যক্তিদের সংখ্যা আইসল্যান্ড, মাল্টা বা বেলিজ এ তিনটি দেশের জনসংখ্যার চাইতেও বেশি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অতি উচ্চ সম্পদমূল্যের ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। ফলে ২০২৪ সাল নাগাদ এ সংখ্যা বার্ষিক ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে উন্নীত হবে ৬ লাখ ৫০ হাজার জনে।
আর এর নেপথ্যে অবদান রাখছে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, মিসর এবং ইন্দোনেশিয়ার ধনী ব্যক্তিদের সংখ্যা এবং অর্জিত সম্পদের বাজারমূল্য বৃদ্ধি।
নাইট ফ্রাঙ্ক প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে পুরো বিশ্বে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৫ কোটি বা স্পেনের জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। ২০১৯ সালের শুরুতে এ সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৬৯ লাখ।
আলোচিত সময়ে শক্তিশালী পুঁজিবাজার এবং স্থায়ী সম্পত্তির মূল্য বাড়ার কারণেই তাদের অবস্থার এমন উত্তরণ।