ছয় মাসের জন্য মুক্ত হয়ে ২৫ মাস পর গুলশান-২ এর ভাড়া বাড়ি ‘ফিরোজা’য় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার দুপুর দুইটার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন করা খালেদার জিয়ার মুক্তির ফাইল নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এসে পৌঁছান জেল সুপার। এর আগে খালেদা জিয়াকে গ্রহণ করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ পরিবারের অন্যান্যরা বিএসএমএমইউতে হাজির হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, কারা কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেলেই তারা পরবর্তী কার্যক্রমে যাবেন।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনের ফাইলে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বিএনপি নেত্রী।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশার কাছে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে এটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের কাছে যায়। জেল সুপার ওই আদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাবার পর মুক্ত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন: তার বাসায় থেকে চিকিৎসা করার সুযোগ দেয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করেছেন। এখন পর্যন্ত সেই ফরমাল সিগনেচারটির অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। এখানে ডকুমেন্টেশনের ব্যাপার রয়েছে, এখানে সরকারের অর্ডারের ব্যাপার রয়েছে। এই সবগুলোই হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাইন করার পরে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাই শামীম ইস্কান্দর বলেন, তার বোন মুক্তি পাওয়ার পর তার নিজের বর্তমান বাসভবন ফিরোজাতেই উঠবেন।