উৎসবমূখর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সিটির মোট ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইভিএম-এ। নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোট কেন্দ্রগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও মোতায়েন রয়েছে আনসার, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ। যে কোন ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে বিভিন্ন স্তরে সাজানো হয়েছে পুলিশ বাহিনীকে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১। মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন প্রার্থী। এখানকার ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও ৯টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৩২ জন প্রার্থী।
এদিকে, নির্বাচনী পরিবেশ আপাতত সুষ্ঠু রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। রোববার সকালে মাসদাইর ইসলামীয়া সিনিয়র মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটদান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে প্রশাসন বলছে আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে, প্রার্থী যে-ই হোন- দেয়া হয়েছে কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি।
মাঠে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য। এছাড়া ভোটের দিন নগরীতে বহিরাগতের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সংঘাতের রেশের মধ্যেই ভোট হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটিতে। সারা দেশের চোখ এখন এই নগরীর দিকে।
তাই এখানকার ভোটারদের নিরাপত্তা নিয়ে থাকা উদ্বেগ কাটাতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। শনিবার সকালেই দিকনির্দেশনা দিয়ে পাঠানোর হয়েছে ১৯২ কেন্দ্রে।
ভোটের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছেন বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা। থাকবে তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয়।
মতামত দিন