রাজধানীর শাহজাহানপুরে প্রকাশ্যে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও এক ছাত্রীকে গুলি করে হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি গুলি করেছিল তাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর এলাকায় মাইক্রোবাসে করে যাওয়ার সময় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এসময় গুলিবিদ্ধ হন পাশের রিকশাযাত্রী বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফরিন প্রীতি। এ ঘটনায় আহত হন টিপুর গালিচালক মুন্না।
আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর।
এ ঘটনায় ২৫ মার্চ, শুক্রবার দুপুরে ফারজানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত জাহিদুল ইসলাম যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে অনেক দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্ত হন। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণিবিতানের সামনে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মতামত দিন