দেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ৫ জনকে ১৭ মে পর্যন্ত ভারতীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন কলকাতা আদালত। তবে আটক নারী সহযোগিকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত রাখা হবে জেল হেফাজতে। অনলাইনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ওই আবেদনে পি কে হালদারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণের সম্পত্তি ও অর্থের নথি ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর গ্রেপ্তার ওই নারী পি কে হালদারের স্ত্রী সুস্মিতা সাহা বলে খবর এসেছে অন্য সংবাদ মাধ্যমে।
শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে ফেরারী পি কে হালদারের সঙ্গে তার দুই ভাইসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬ জন। ব্যাংক জালিয়াতি ও অর্থপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইডি তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
অর্থপাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদারের সম্পদের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গের এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট ১০টি অভিযান চালায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর থেকে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, পি কে হালদার ভুয়া তথ্য-পরিচয় এবং রেশন কার্ডের মতো জাতীয় কার্ড ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন শিবশংকর হালদার নামে। ভারতীয় পরিচয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হন তিনি।
ইডির অভিযানে, তিনিসহ তার দুই ভাই প্রীতিশ ও প্রাণেশ হালদার, সহযোগী স্বপন মৈত্র, উত্তম মৈত্র এবং এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান খুলেছিলেন তারা। জমিসহ কলকাতার অভিজাত এলাকায় তাদের বেশ কয়েকটি বাড়িও রয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই ভাই উত্তম ও স্বপন মৈত্রের পশ্চিমবঙ্গে মাছের ব্যবসা ছিল বলা জানা গেছে। এদের মধ্যে স্বপন মৈত্র বাংলাদেশের নাগরিক নন বলে দাবি করছেন তার স্ত্রী। তবে দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে উত্তমের।
হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে টাকা পাচারে পি কে হালদারকে সহযোগিতা করেছেন সুকুমার মৃধা। আর সম্পদ কেনায় সাহায্য করেছেন সুকুমারের মেয়ে অনিন্দিতা ও মেয়ের জামাই সঞ্জিব হাওলাদার। এ তথ্যের ভিত্তিতেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি।
মতামত দিন