এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন ডলারের বিপরীতে আবারো টাকার মান কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, কয়েক দফা টাকার মান কমানোর পরেও স্বাভাবিক হচ্ছে না বাজার।
অস্বাভাবিক হারে আমদানি ব্যয় বাড়ায় ডলারের দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য এখন ৭ টাকা। খোলাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে হচ্ছে প্রায় ৯৬ টাকা দিয়ে। এতে রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হলেও বিপাকে পড়েছেন পর্যটক ও চিকিৎসার জন্য বিদেশগামী যাত্রীরা। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আগামী মাসে হ্জগামী যাত্রীরাও। এতে অবৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যাংকাররা। ডলার নিয়ে একই সমস্যায় পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। তাই আগেভাগে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে, বিদেশ থেকে প্রাপ্ত আয় বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়, সংরক্ষেণের বিষয় অবশ্যই গ্রাহকে জানাতে হবে। গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় নগদায়ন করা যাবে না।
এরআগে, জানুয়ারি মাসের শুরুতে ডলারের বিনিময় মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর ২৩ মার্চ তা আরো ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছিল। গত ২৭ এপ্রিল বাড়ানো হয় ২৫ পয়সা। তাতে ১ ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। সর্বশেষ ৯ মে ডলারের বিনিময় মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
মতামত দিন