করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানোসহ ৫টি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) চলমান সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় এই প্রস্তাব দেন তিনি।
প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা, সংকট মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগ নেয়া এবং জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় পর্যাপ্ত তহবিল এবং প্রযুক্তি বরাদ্দ।
ভিডিও বার্তায় শেখ হাসিনা মহামারি মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে তার সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার ফলে টেকনাফে দেখা দেয়া নিরাপত্তা হুমকির বিষয়েও বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদে এবং মর্যাদার সাথে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব যখন করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর বিরাট আঘাত হেনেছে। আর এই যুদ্ধে দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোই বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের প্রয়োজন। মহামারি চলাকালীন সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে নেতিবাচক বা নামমাত্র জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও বাংলাদেশ তখন আশানুরুপ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।
বাংলাদেশ ২০২১-২২ সালে ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি বৃদ্ধির আশা করছে। মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ দেশের সকল মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মতামত দিন