কুমিল্লা সিটিতে দলীয় কোন্দলই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সংকট। জেলার দুই পরিবারের টানা বিরোধের জেরে গত দুটি সিটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা হেরেছে।
এবার সিটি নির্বাচনেও কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিলেও, বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আছেন দলের আরেক নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। ফলে কুমিল্লায় এবারো বিভক্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগর ভোট।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এ পর্যন্ত দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি নির্বাচনেই মেয়র পদে হেরেছে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী। ২০১২ সালে প্রথম কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মনিরুল হক সাককু পরাজিত করেন কুমিল্লার বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আফজল খানকে।
২০১৭ সালে সাককুর কাছে ভোটের লড়াইয়ে হারেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। সীমা প্রয়াত আফজল খানের কন্যা। অভিযোগ আছে, দলীয় কোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগ ফলাফল ঘরে আনতে পারেনি।
কুমিল্লার রাজনীতিতে আফজল-বাহার গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছে টানা তিনদশক ধরে। দলের এক গ্রুপের কেউ মনোনয়ন পেলে বেঁকে বসে আরেক গ্রুপ। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আরফানুল হক রিফাত। আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাত আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী।
এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। ইমরান প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের পুত্র ও সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমার ছোট ভাই।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বোন আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলছেন, অতীতের দ্বন্দ্ব ভুলে এবার নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সবাই কাজ করবে।
দুই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হারলেও এবার বিজয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া বলে দাবি করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
মতামত দিন