২৯.০৬.২০২২
বন্যার ধকল কাটতে না কাটতেই আাবারও বাড়তে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের সবকটি নদ-নদীর পানি। গত ১২ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়তে শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও তিস্তাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি। ফলে এসব নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার ঝুঁকি থাকলেও অন্যান্য নদ-নদী অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে পাউবো জানায়, ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা তিস্তা অববাহিকা বন্যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। আগামী ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে, দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে এবং তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার উপরে অথবা কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।
পাউবো জানায়, বুধবার (২৯ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ১২ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার যথাক্রমে ৮৭ ও ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একইভাবে বাড়ছে দুধকুমার নদের পানি।
পাউবোর কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তা অববাহিকায় বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। সদরের সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি কিংবা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এসব নদনদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
মতামত দিন