নিখোঁজের ১০ দিন পর জানা গেলো চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার শিশু আলীনা ইসলাম আয়াত আর বেঁচে নেই। অপহরণকারী তরুণ তাকে হত্যার পর মরদেহ কেটে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। শিশুটির বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়ার ছেলেকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিকভাবে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত ১৫ নভেম্বর বিকালে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকার নয়াহাটের নিজ বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের আনিলা ইসলাম আয়াত।
বুকফাটা আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের বন্দরটিলা নয়ারহাট এলাকার আয়াতদের ঘরের চারপাশ। দশদিন ধরে নিখোঁজ একমাত্র কন্যা আনিলাকে হারিয়ে এমনিতেই দিশেহারা ছিল পরিবারটি।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশের মাধ্যমে স্বজনরা জানতে পারে, তাদের সন্তানকে হত্যার পর ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে সাবেক ভাড়াটিয়ার ছেলে আবির আলী।
আনিলা নিখোঁজের পর অপহরণকারী পরিচয়ে বেশ কয়েক দফা টাকা চেয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে আবির। স্বজনদের দাবি, আবির একা নয়, তার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে।
ঘাতকের সন্ধান পেলেও শিশুটির মরদেহ এখনও খুঁজছে পুলিশ। নগরীর পতেঙ্গার আকমল আলী সড়কের দ্বীন মোহাম্মদ ভবন থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে পিবিআই এবং সিআইডি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবির শিশুটির মরদেহ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, শিশু আয়াতদের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকতো ঘাতক আসামি আবির আলী। নিখোঁজের দিন আয়াতকে কোলে করে মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে বের হয় আবির। এরপর পরিবার থেকে তাকে আয়াতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে ঘাতক আবির মেয়েটা নিখোঁজ হওয়ার কথা বলে।
নাইমা সুলতানা জানান, ওইদিনই আয়াতের পরিবার এ ব্যাপারে নিখোজ ডায়েরি করে। ওই ডায়েরির ভিত্তি করে পিবিআই তদন্ত করা শুরু করে। একপর্যায়ে আসামি আবিরের মুভমেন্ট ট্র্যাক এবং জেরা করার পর আয়াতকে হত্যার করার কথা জানায় সে। হত্যার পর শিশু আয়াতের মরদেহ ৬ টুকরো করে ঘাতক আবির।
মতামত দিন