কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম তৈরিতে সহায়তা করেছে তালেবান। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে, ব্যয়বহুল এসব স্টেডিয়াম তৈরিতে তালেবানের পক্ষ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলারের সরঞ্জাম দেওয়া হয়। এমন সময় এই খবর প্রকাশ হলো যখন অর্থাভাবে চরম মানবিক বিপর্যয়ের শিকার আফগানিস্তানের লাখো মানুষ।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে চলছে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। পুরো আয়োজনের কোথাও কোনো ত্রুটি রাখেনি দেশটি। যদিও ঘুষের অভিযোগ থেকে মানবাধিকার ইস্যুতে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে আয়োজক দেশ কাতার।
এতো বিতর্কের মধ্যে এবার নতুন এক তথ্য প্রকাশ করলো ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ। তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলছে কাতারের স্টেডিয়াম নির্মাণে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে আফগানিস্তানের তালেবান।
মূলত ২০১৩ সাল থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় বসবাস করছেন তালেবানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতেই সেখানে একপ্রকার ঘাঁটি গেড়ে বসেন তারা। এমনকি সেখানে রয়েছে তাদের অফিসও।
এই নেতাদের বেশ ভালো অঙ্কের অর্থ বেতন হিসেবে দেয়া হয় বলেও এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। এমনকি গত দশ বছরে এই বেতনের বিনিময়ে কাতারকে বিভিন্ন নির্মাণ সরঞ্জামাদি দিয়ে আসছেন তারা।
এছাড়া দ্য টেলিগ্রাফ আরও জানিয়েছে দোহায় থাকা এসব নেতাদের বেতন প্রথমে নগদ অর্থে দেয়া হলেও পরে তা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে কাতার কর্তৃপক্ষের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্মিলিতভাবে বেতনের টাকা কোন খাতে ব্যবহার হয় তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এদিকে, আফগানিস্তানে আর্থিক ও মানবিক সংকট চলমান থাকা সত্ত্বেও তালেবান নেতাদের এই বিনিয়োগ কতটা যৌক্তিক তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না আফগানদের। যেখানে অর্থের অভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী বাধ্য হচ্ছে নিজের শরীরের অঙ্গ কিংবা কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দিতে।
মতামত দিন