যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন ডাকাতির পর হত্যা মামলায়। তবে জামিনে বেরিয়ে আবার ডাকাত বাহিনী গড়ে তোলেন দেলোয়ার হোসেন। রাস্তা থেকে যাত্রী হিসেবে মাইক্রোবাসে তুলে সর্বস্ব লুটে নেয় দেলোয়ার চক্র। আগারগাঁয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৩ জনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানতে পারে ডিবি।
১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ৩০০ ফুটের সড়ক থেকে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে মাইক্রোবাসে তুলে লুটে নেয়া হয় টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। এক মাস পর পোস্তগোলা থেকে আরেক শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়া হয় একইভাবে।
এসব ঘটনায় মামলার পর তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। এরমধ্যে আগারগাঁওয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয় তিন জন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি জানতে পারে, গ্রেপ্তার ডাকাত দলটির সর্দার দেলোয়ার হোসেন। ২০১২ সালে ডাকাতির পর নির্যাতনে একজনকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনি। ২০২০ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও শুরু করেন ডাকাতি।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, একজনকে তারা রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল। সে মারাও গিয়েছিল। ওই মামলায় দেলোয়ারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল এবং আলমগীরের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। তারপরও তারা জামিনে বের হয়ে এসে এই পেশাটি গ্রহণ করেছে।
ডিবি বলছে, দেলোয়ার বাহিনী ৩০০ ফুট সড়ক, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়ক এবং ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গণপরিবহনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের টার্গেট করে। মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে লুটে নেয় সর্বস্ব। গত বছরেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে ২ শতাধিক।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, এই চক্রটি বহুদিন ধরে এই কাজটি করছে। তারা প্রায় দুইশ'র মতো ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে। তাদের দলে কোনো সময় ৫ জন, কোনো সময় ৭ জন থাকে।
ডাকাতি-ছিনতাই থেকে বাঁচতে রাস্তায় অপরিচিত কারো প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাসে ওঠা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ ডিবির।
মতামত দিন