প্রস্তুতি সম্পন্ন না হলেও আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তজার্তিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৭তম আসর। এবার মেলার পরিসর বাড়ায় বাড়ছে স্টলের সংখ্যা। পাশাপাশি নৈরাজ্য রোধে এবার খাবারের দাম বেধে দেওয়া হবে জানান বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
শনিবার পূর্বাচল নতুন শহরের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী বলেন, নতুন বছরের পথম দিন ১ জানুয়ারি বিবিসিএফইসি-এ প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
মেলার শেষ মূহুর্তে নিজেদের স্টল সাজসজ্জায় ব্যস্ত অংশগ্রহণকারীরা। ৩২টি ক্যাটাগরিতে ৩৩১টি স্টল স্থান পাবে এবার মেলায়। তবে এর বেশিরভাগেই এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি। গত বছর এই সংখ্যা ছিলো ২২৫টি। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আশা করছেন, ঢাকা থেকে কিছুটা দূরে হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় এবারের মেলায় ভালো সাড়া পবেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, 'বাণিজ্য মেলা আসলে আয়ের জন্য নয়। মূল বিষয় হলো পণ্য প্রদর্শন করে রপ্তানি বাণিজ্যে আমরা কতোখানি কাজে লাগাতে পারি। স্পট অর্ডার যেটা গত বছর ২০০ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছিলাম এ বছর সেটা আরও বেশি হবে বলে আশি করছি। আমাদের উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গণে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই মেলার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। আর সার্বিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বাড়ানো।
এ বছর মেলার পরিধি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'মেলার আকার বাড়বে এবার। গত বছরের তুলনায় ১০০টির বেশি স্টল অংশ নিয়েছে।
এবার মেট্রোরেলের আদলে মেলা প্রাঙ্গণের দুটি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে আয়োজন করে আসছে এ মেলার। মেলার প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বড়দের জন্য ৪০ টাকা আর ছোটদের ২০ টাকা। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন (ডিটিও) অনুবিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো: আব্দুর রহিম খান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, ইপিবির পরিচালক মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতামত দিন