সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ সওদাগর । কক্সবাজার লাইট হাউজস্থ কটেজ জোনের চিহ্নিত পতিতা ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে কটেজে পতিতা মজুদ রেখে দেহ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও আইনের আওতায় আসেনি একবারও। কটেজ জোনে প্রায় পুলিশের অভিযানে মামলা থেকে কৌশলে বাদ পড়ে এ সিরাজ সওদাগর।সিরাজের কটেজ থেকে বহুবার পতিতা ও খদ্দর আটক হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন তিনি।
কক্সবাজার শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীত পাশে স্বরণ সমিতির কটেজ জোন। এই জোনে প্রায় ৮টি কটেজে নিয়মিত মজুদ রাখা হয় পতিতা। যার মধ্যে অন্যতম সিরাজ সওদাগরের ভাড়া নেওয়া কটেজ ‘সী টাউন’। যে কটেজ থেকে বহুবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে পতিতা ও খদ্দর আটক করেছিল। মামলা হয়েছিল অনেক কটেজ ভাড়াটিয়া ও মালিকের বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রতিবারেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাদ পড়েন সিরাজ সওদাগর। বর্তমানে তার কটেজে জমজমাটভাবে চলছে পতিতাদের দেহ ব্যবসা। বলতে গেলে এক প্রকার প্রকাশ্যে চলছে এই অবৈধ কর্মকান্ড। এমনকি পতিতা মজুদ রাখতে পুরো কটেজটি বছরের পর বছর মোটা অংকের টাকায় সেলামীতে ভাড়াও নেন সিরাজ। সেলামী ছাড়াও প্রতিমাসে ভাড়া দিতে হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। অবৈধ ব্যবসা চালাতে তিনি এতো টাকার বিনিময়ে কটেজ ভাড়া নেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কটেজ জোনের আলোচিত হলো 'সী টাউন কটেজ' । যে কটেজ সব সময় পতিতাদের ডেরা হিসেবে পরিচিত। ওই কটেজে সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ বহুবার অভিযান চালিয়ে পতিতা আটক করেছিল। সীলগালাও করা হয়েছিল। কিন্তু থেমে থাকেনি ওই কটেজের অপরাধ।
ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন- সী টাউন কটেজে কোন দিন পর্যটক অবস্থান করেনি। এটি পতিতা মজুদের কটেজ হিসেবে পরিচিত। প্রতিটি রুমে পতিতাদের অবস্থান। সব সময় ২০ জনের অধিক পতিতা অবস্থান করে সিরাজের এ কটেজে। খদ্দররা নিয়মিত ভীড় জমান ওখানে। এখনো জমজমাট চলছে সবুজ কটেজে পতিতার ব্যবসা। মূলত পতিতা ও খদ্দরের জন্য কটেজটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেখানে চলে মাদক সেবনও।
একটি সূত্রে জানা গেছে- স্থানীয় কিছু যুবককে প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে মাসোহারা দিয়ে পান শাহিন অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত দেন চাঁদাও। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যও নিয়মিত যান সেখানে। দেন নির্দিষ্ট মাসোহারাও।
সিরাজ সওদাগরের বাড়ি মহেশখালী হলেও থাকেন লাইট হাউজ এলাকায়। কটেজ জোনের এই অবৈধ কারবারের জন্য চিহ্নিত হলেন সিরাজ সওদাগর পুরো কটেজ জোনে পতিতা ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ পরিচিত।
এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নাজমুল হুদা বলেন, খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত দিন