ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক আদায় কমে যাওয়ায় বড় হচ্ছে রাজস্ব ঘাটতি। অর্থবছরের সাত মাসে লক্ষ্যের চেয়ে আদায় কম হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতির ধীরগতির কারণে রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি সামনের দিনগুলোতে আরও কঠিন হবে। আর কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, বছর শেষে রাজস্ব ঘাটতি ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে।
জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছিল এক লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ধরা হয় ১৮ ভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, আদায় হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১২ ভাগ। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৬ ভাগের বেশি।
মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক আদায়ে পিছিয়ে পড়ছে এনবিআর। সাত মাসে ভ্যাটে ঘাটতি পৌনে ৮ হাজার কোটি ও আমদানি শুল্কে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে, আয়করে ঘাটতি প্রায় ১ হাজার কোটি।
সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ফর ফাঁকি, অর্থপাচারের মতো অনিয়ম কমাতে সরকার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও, খুব একটা কাজে আসছে না। চলমান পরিস্থিতিতে কর আদায় বাড়ানো, ফাঁকি কমানো ও অর্থপাচার রোধে কঠোর হতে হবে।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরের আয়ের লক্ষ্য ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। গত ৭ মাসে গড়ে আদায় সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা। সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার মাইলফলকে পৌঁছাতে হলে, বাকি ৫ মাসে গড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে এনবিআরকে।
মতামত দিন