অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাৎ গত ৩ মাসে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমেছে ১৪ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক শ্রেণিকৃত ঋণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদন বলছে, গত বছর সেপ্টেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ছয়-তিন শতাংশে।
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ বেড়ে গিয়েছিল অস্বাভাবিকভাবে। এটি কময়ে আনতে পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সাল শেষে ব্যাংক খাতে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শ্রেণীকৃত ঋণ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি এবং খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১২ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা।
যার মধ্যে মন্দ ঋণ প্রায় ১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা। সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ১৯ দশমিক ৩১ ভাগ এবং বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, মেয়াদি ঋণের কিস্তি ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশে আনা, ঋণ পুনঃতফসিল করা, সুদ মওকুফ করে ঋণ পরিশোধের সুযোগ এবং আদালতের স্থগিতাদেশে শ্রেণীকৃত ঋণ হ্রাস পেয়েছে।
করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত সব মিলিয়ে আর্থিক খাতে বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছিল, যা এখনো বিদ্যমান আছে। মানুষের আয় কমেছে, খরচ বেড়েছে। আর এই আঘাতে সঞ্চয় কমেছে। এ কারণে আর্থিক খাতে তারল্য কমছে। এর মধ্যেও কৃষকরা তাদের ঋণের অর্থ ফেরত দিয়েছেন। খেলাপি ঋণও এ সময়ে ফেরত বেড়েছে। আর্থিক খাতের উদ্যোক্তারা এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
মতামত দিন