ডলার সংকটে এখনও জরুরিভাবে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। ফলে কাঁচামাল আমদানিতে অনেক সময় লাগছে। শনিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও মুক্ত আলোচনায় এসব কথা বলেন সংগঠনটি সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
এমসিসিআই সভাপতি বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) পরামর্শে সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে জ্বালানিতে কোনো ভর্তুকি দেবে না। আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে প্রতি মাসে না হলেও প্রান্তিকে সমন্বয় করে মূল্য নির্ধারণ করবে। কিন্তু এখনো বিশ্বে মহামারি শেষ হয়নি। চলমান আছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ অবস্থায় জ্বালানিতে ভর্তুকি তুলে নিলে দেশের ব্যবসায়ীরা চাপে পড়বে, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা কমে যাবে। তাই আমরা চাচ্ছি এখন অর্থাৎ এবছর জ্বালানির দাম সমন্বয় না করে ভর্তুকি চালু রাখা।
সভায় আলোচনায় আরও জানানো হয়, জানুয়ারিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিলো ৩২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখে আকু বিল পরিশোধ করার পরেও এর পরিমাণ দাড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার। ফলে ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে রিজার্ভের অবস্থান।
সভায় জানানো হয়, চলতি অর্থবছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭ বিলিয়ন ডলার। ইতিমধ্যে প্রথম সাত মাসে ৩২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এই অর্থবছরে ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হবে।
মতামত দিন