শীত শেষে এসেছে বসন্ত। আর তার ছোঁয়া লেগেছে ইট-কাঠের নগরী ঢাকায়ও। ভবনের ছাদে ফুটেছে নীলমনি। উদ্যানে পলাশ-শিমুল আর মাধবী লতার সমারোহ। বাতাসে ভাসছে এর মৌতাত। ফাল্গুনেই রুদ্র বৈশাখের আগামনী বার্তা দিচ্ছে প্রকৃতি।
নগরের বহুতল ভবনের ছাদে নীলমনির আচ্ছাদন। লতানো ঝাঁকড়া গাছে ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে ডালপালা। গায়ে গাঢ় বেগুনী রং- তবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এর নাম দিয়েছেন নীলমনি।
আমেরিকা থেকে এই ফুল কীভাবে বঙ্গদেশে এলো তা অজানা। গন্ধ না থাকলেও মধুর লোভে একে ঘিরে থাকে ভ্রমর-মৌমাছি। লতানো ঝোপে হয় পাখির নিবাস।
শীতের তীব্রতা কমলে নিরবেই প্রকৃতিতে চলে রূপ বদলের খেলা। ফাল্গুনে এরই মধ্যে নিজেকে মেলে ধরেছে পলাশ। রুদ্র বৈশাখের আগামনী বার্তা দিতেই তার আগুনে সাজ।
রমনার উদ্যানেও আছে অশোকের হাতছানি। সারবাঁধা সবুজ গাছে থোকা-থোকা লাল-কমলার ছোপ।
মৌতাত ছড়াচ্ছে মাধবী লতাও। শ্বেত শিমুলসহ নানা রঙা ফুলের দেখা মিলবে হাতিরঝিল, রমনা, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ নগরীর বাগান-উদ্যানে।
মতামত দিন