রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির মূল নথি খুঁজে পাচ্ছে না রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ফলে সাততলা ভবনটির বৈধতা নিয়ে অন্ধকারে তদন্তকারী সংস্থাগুলো। এদিকে, ওয়াসার পাইপের লিকেজের কারণে বেজমেন্টে জমেছে পানি। এতে সন্দেহজনক বিস্ফোরণের জায়গায় পৌঁছতে পারছে না সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। ঘটনার চারদিনেও ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি ওয়াসার কোনো কর্মকর্তাকে।
ফুলবাড়িয়ায় বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত সাততলা ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। ধসে পড়া ঠেকাতে লোহার পাইপ ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত ৯টি পিলার মজবুত করার চেষ্টা করছেন রাজউকের কর্মীরা।
শুক্রবার সকালে সিআইডির ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করতে এসে পড়ে বিপাকে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার পাশাপাশি ওয়াসার পাইপের লিকেজের কারণে বেজমেন্টে পানি জমায় মূল জায়গায় পৌঁছাতে পারেননি না তদন্তকারীরা।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পাম্প ব্যবহার করে পানি সরানো শুরু করলেও পানি বাড়তে থাকায় এক পর্যায়ে কাজ স্থগিত করেন তারা।
এদিকে, ভবনটির বৈধতা নিয়েও ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও।
রাজউক কারিগরি কমিটির সদস্য রঙ্গন মণ্ডল বলেন, ভবনের মূল নথির হদিস মেলেনি। নির্ভর করতে হচ্ছে ভবন মালিকদের কাছে থাকা নকশার ওপরই।
তিনি বলেন, পাইপ বসানোর কাজ শেষে ভবনটি ভেঙে ফেলা বা সংস্কার করে ব্যবহার করা যাবে কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত নিতে ৪৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে।
মতামত দিন