রিপোর্টার, অলোক
২৫.০৫.২০২১
সুস্থ-স্বাভাবিক লাইফস্টাইল দৈনন্দিন জীবনে সকল লোকেই কামনা করেন, আর তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন বিভিন্ন লোক বিভিন্ন ধরনের সবুজ সবজি খেয়ে থাকেন।
এশিয়া মহাদেশের জনপ্রিয় সবজিগুলির মধ্যে অন্যতম হল করলা। কেনই বা হবেনা বলুন! স্বাদে না হলেও গুণ বিচারে কিন্তু এই সবজিকে গুরুত্ব না দিয়ে কোনো উপায় নেই। কারণ বেশ কিছু গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে ডায়াবেটি ছাড়াও বাত রোগে, লিভার ও শরীরের কোনো অংশ ফুলে গেলে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে করলা ভালো ভেষজ ঔষধি হিসাবে কাজ করে। নিয়মিত করলা খেলে জ্বর, হাম ও বসন্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
করলার তিতকুটে স্বাদের মিষ্টি গুণের কথা কম বেশি সবারই জানা।
কী কী রোগ সারানোর ক্ষমতা রয়েছে ছোট্ট এই সবজিটির তা জেনে নিন-
১. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
২. রক্ত পরিশুদ্ধ হয়
৩. পেটের রোগের প্রকোপ কমায়
৪. ওজন হ্রাস করে
৫. পাইলসের কষ্ট কমায়
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
৭. দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়
৮. ক্যান্সার বিরোধী
‘বিএমসি কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অলটারনেটিভ মেডিসিন’-এর রিপোর্ট বলছে, নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ করলা খুব দ্রুত দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। করলার রস দিয়ে হেলথ ড্রিঙ্ক বানিয়ে খেলে কাজ হয় খুব তাড়াতাড়ি।
বর্তমান প্রজন্মের একটা বড় অংশ ওবেসিটির শিকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, করলার রস ফ্যাট সেলগুলো বার্ন করে এবং সেই জায়গায় নতুন ফ্যাট সেল তৈরি হতে বাধা দেয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও করলার রস খুব উপকারি।
করলার মধ্যে রয়েছে পলিপেপটাইড বি, ভিসিন এবং ক্যারাটিন। প্রতিদিনের ডায়েটে করলার জুস রাখলে উচ্চরক্তচাপ কমে। রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
‘কারসিনোজেনেসিস’-এর রিপোর্ট বলছে, করলার জুস অগ্নাশয়ের ক্যান্সার রোধ করে। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলিকে নির্মূল করে। বিজ্ঞানপত্রিকা ‘পাবমেড’-এর তথ্য অনুযায়ী স্তন ক্যান্সার রোধে করলার জুসের গুরুত্ব রয়েছে।
হাঁপানি এবং ফুসফুসের যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করে করলার জুস। নিয়মিত করলার জুস খেলে ত্বক অনেক টানটান এবং তরতাজা দেখায়। বলিরেখা দূর হয়।
করলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মধু মিশিয়ে করলার জুস খেলে হজম শক্তি বাড়ে। তাছাড়া এতে রয়েছে ফাইবার, যা পরিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।
করলার জুস যেভাবে বানাবেনঃ করলা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ছোট পিস করে কাটুন। তেতো খেতে খুব সমস্যা হলে ব্লেন্ডারে করলার সঙ্গে অন্যান্য সবজি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য ওই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে খান।
মতামত দিন