করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে তথ্য লুকাচ্ছে স্পেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। যদিও এমন অভিযোগ করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের বিরুদ্ধেও রয়েছে।
স্পেনের বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ , সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করছে না। এদিকে শুক্রবার স্পেনের সংবাদমাধ্যম এল কনফিডেনশিয়াল দাবি করেছে, স্পেনের কাতালোনিয়া, মাদ্রিদসহ পাঁচ রাজ্যে হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত মৃতদের সংখ্যা গণনা করা হয়েছে। তবে যারা হাসপাতালের বাইরে মারা গেছেন তাদের সংখ্যা গণনা করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমটি দাবি করছে, প্রায় ২ হাজার ৭শ মানুষের মৃত্যুর খবর লুকিয়েছে স্পেন সরকার।
গত সপ্তাহে স্পেনের মাদ্রিদ সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনার লক্ষণ নিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মত মানুষ মারা গেছেন। তবে মারা যাওয়া এসব মানুষের পরবর্তীতে আর কোন পরীক্ষা করা হয়নি।
এদিকে এমন পরিস্থিতে স্পেনের বিরোধী দলগুলোর তোপেড় মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। গত বুধবার স্পেনের বিরোধী দলীয় ভক্স পার্টির সংসদ সদস্য জুয়ান লুইস স্টেগমান বলেন, অনেক মানুষ টেস্ট ছাড়া মারা যাচ্ছে। তারা কে?
এদিকে স্পেনের প্রধান বিরোধী দল পিপলস পার্টির নেতা পাবলো কাসাদো বলেন, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসেবের দ্বিগুন কিনা এ নিয়ে সত্য বলুন। কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কুইম টোরা ইতিমধ্যে রাজ্যটির করোনায় মৃত্যুর তালিকা সংশোধন করেছেন। সেখানে আরো অতিরিক্ত ২ হাজার মানুষের মৃত্যুর তথ্য দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, যা ঘটেছে জনগণের তা জানা দরকার।
স্পেনে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮ জন। মারা গেছেন ১৯ হাজার ৪৭৮ জন। যা সর্বোচ্চ মৃত্যু সংখ্যায় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়।