গজারিয়ায় দুই চিকিৎসকসহ তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির জরুরি বিভাগের যাবতীয় চিকিৎসা কার্যক্রম সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়ছে। করোনা আক্রন্তরা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) ডা: লিয়াকত হোসেন ও উপ-সহকারী (সেকমো) আব্দুল জলিল এবং আরেকজন উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের জামাতা ইয়াসিন মিয়া (৩৫)। তিনি উপজেলার বার কালীপুরা গ্রামের মো: ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, ইয়াসিন মিয়া কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় গার্মেন্টসে চাকরি করা অবস্থায় অসুস্থ হন। সেখান থেকে পালিয়ে ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষীপুরা গ্রামে চলে আসেন। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহৃত করেন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন মেডিকেল অফিসার (সেকমো) সংক্রামিত হওয়ায় আইইডিসিআর ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির জরুরি বিভাগ বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা দেন। গত ৭ এপ্রিল গজারিয়ার ৩জনসহ ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৮ এপ্রিল তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এরমধ্য ৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
তিনি আরোও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন সেকমোকে ঢাকায় ভর্তি করার জন্য শুক্রবার রাতেই মুন্সীগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। এই অ্যাম্বুলেন্সে অপর রোগী ইয়াসিনকে আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। সিভিল সার্জন বলেন, আক্রান্ত এই দুইজন সেকমোর সাথে যারা ডিউটি করেছেন তাদের হোমকোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাকি ৪জন করোনা সংক্রামিত ব্যক্তি মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বলে জানা গেছে।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন মেডিকেল অফিসার (সেকমো) সংক্রামিত হওয়ায় আইইডিসিআর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির জরুরি বিভাগ বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও পুরো হাসপাতালটির কার্যক্রম কেনো বন্ধ করা হলো এর কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে।