জালিয়াতি করে হত্যা মামলার এক আসামিকে হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়ে দেয়ার অভিযোগে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এরা হচ্ছেন- খলিল উদ্দিন ও বেলাল হোসেন। এরা দু’জনই হাইকোর্টে দুই আইনজীবীর মুহুরি। চক্রের আরও অন্তত তিন সদস্যকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে ডিবি পুলিশ।
কথা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) নাজমুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার একটি হত্যা মামলার আসামি জামিল হাসানের জামিন করিয়ে দেয়ার জন্য দুই আইনজীবীর মুহুরি খলিল উদ্দিন ও বেলাল হোসেনের সঙ্গে ৮৫ হাজার টাকায় চুক্তি করা হয়। এর মধ্যে খলিল নেন ৩৫ হাজার টাকা ও বেলাল ৫০ হাজার। এ ছাড়া আইনজীবীর টাকা তো আছেই।
নাজমুল হক বলেন, গত বছর ১৫ মে হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিল হাসানকে জামিন দেন। কিছু দিন পর ঠাকুরগাঁওয়ের আদালতে জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আসামি জালিয়াতির মাধ্যমে জামিন নিয়েছেন। পরে জজ আদালত ওই আসামিকে তলব করেন। কিন্তু জামিল আদালতে হাজির না হয়ে পলাতক থাকেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় জালিয়াতিতে জড়িতের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মুহুরি খলিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তিনি জালিয়াতির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। বলেন, আরেক মুহুরি বেলাল হোসেনের মাধ্যমে তিনি কাজটি করেছেন। এই চক্রে আরও তিনজন জড়িত। বুধবার ঢাকার রমনা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বেলালকে। বাকিরা গাঢাকা দিয়েছে। আসামি জামিল হাসান পলাতক।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, বেলাল হোসেন বলেছেন, এর আগে তারা নিæ আদালতের কাগজপত্র জালিয়াতি করে ৫-৭টি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের একটি চক্র মামলাগুলো এনে দেয়। এরপর হাইকোর্টে মামলা ফাইল হয় এবং জামিন হয়ে যায়। পরে ঘটনা ধরা পড়লেও আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। তদন্তের স্বার্থে বাকি আসামিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হয়নি ডিবি পুলিশ।