কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ এবং বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ মামুন হামলার শিকার হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল ও তার অনুসারীরা আঃলীগ কার্যালয়ে সামনে মামুনের ওপর অতর্কিত এ হামলা চালায়। হামলায় আহত মামুন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পূর্ব মুহুর্তে জেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিজয় মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হয় আঃলীগের কার্যালয়ের সামনে। এসময় এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবলীগ সদস্য মামুন জানান, সন্ধ্যায় পৌর নির্বাচনের ভোটের ফলাফল জানার জন্য নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। এ সময় যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রেদওয়ানুল হক দুলাল আমার শাটের কলাট ধরে কিল-ঘুষি মারা শুরু করে, পরে তার মাস্তান বাহিনী বেধড়ক মারধর করে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। গুরুতর আহত অবস্থা তাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাসায় চলে যান।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে দৃষ্টান্তকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানায় পৌরবাসী। সিনিয়র যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে মারধর করার ঘটনায় মাধ্যমে নিদ্ধার ঝড় ওঠে।
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলীর ছেলে রেদওয়ানুল হক দুলাল। দুলাল জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক হওয়ার পর থেকে একের পর এক নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতাদের লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।