টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হলেন ৩ বন্ধু। ২৭ দিন পর লাশ উদ্ধার করলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২৮ এপ্রিল শুক্রুবার বিকালে টেকনাফ মহেশখালীয়া পাড়ায় বন্ধুর জন্য বউ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন ৩ বন্ধু । সিএনজি ড্রাইভারের তথ্য মতে পরিবার জানতে পারলো ৩ বন্ধুকে অপহরণ করা হয়েছে।
৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হচ্ছে। এসব জেনে তাদের পরিবার ছুটে গেলেন সদর থানা পুলিশের কাছে।
সদর থানা দেখিয়ে দিল টেকনাফ থানাকে। এভাবে দুই থানায় দৌড়াদৌড়িতে কেটে গেল ৬ দিন। ৬ দিন পর ইমরানের বাবা ইব্রাহীম শেখ গেলেন টেকনাফ ওসি'র কাছে। লুটিয়ে পড়লেন ওসি'র পায়ে।
পুত্র হারা বাবার আকুতি- " ৩০ লাখ টাকা দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। ১ লাখ ১ হাজার টাকা দিয়েছি, তারপরও ছেলেকে ছেড়ে দেইনি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। আপনি আপনি দয়া করে আমার ছেলেকে উদ্ধার করুন"।
একজন বাবার এমন আর্ত চিৎকারে টেকনাফ ওসি'র মন গলেনি। একটি জিডি পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। পুলিশ কেন এ ধরনের অভিযোগ আমলে নিলনা, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এখানে পুলিশের আচরণ রহস্যজনক!। ঘটনার ১৩ দিন পর কেন পুলিশ মামলা নিল? এটাও বোধগম্য নয়।
তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি - ৩ বন্ধুর অপহরণ অতঃপর মৃত্যুর জন্য পুলিশের অবহেলা দায়ী? পুলিশ এতো দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণ করলে সাধারণ মানুষ তার নিরাপত্তা কার কাছে চাইবে?
পুলিশের এমন রহস্যজনক আচরণের তদন্ত হওয়া উচিত।
আমাদের আর কত প্রাণ ঝরে গেলে পুলিশের জ্ঞান ফিরবে? না কি এভাবে রোহিঙ্গাদের হাতে আরও তাজা প্রাণ ঝরে যাবে? এই প্রশ্নের জবাব কে দেবে?
রাষ্টের কাছে নিরাপত্তা চাই। এটা আমার অধিকার।
মতামত দিন