সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের আর মাত্র তিন দিন বাকি। প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সিলেট মহানগরী। নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট মহানগরীকে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তার চাদর দিয়ে।
সোমবার থেকে মাঠে নামছেন ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার থেকে মাঠে থাকবে ১০ প্লাটুন বিজিবি।
নির্বাচনি অপরাধসমূহ আমলে নিয়ে তা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের জন্য ১৪ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঁচ দিনের জন্য প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভোটের আগের দুই দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুই দিনসহ মোট পাঁচ দিন নির্বাচনি কোনও অপরাধ হলে এর বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তারা।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভোট গ্রহণের আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই মাঠে নামছে ১০ প্লাটুন বা ৫০০ বিজিবি সদস্য। ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৪২ ওয়ার্ডের জন্যে থাকবেন ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও নির্বাচনী অপরাধসমূহ আমলে নিয়ে তা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্নের লক্ষ্যে বিচার বিভাগের ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোমবার থেকেই মাঠে নামছেন।
সিসিকের ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪২টি মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকবে। প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্যে থাকবে পুলিশের ১৪টি স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স। ৪২টি ওয়ার্ডের জন্যে থাকবে র্যা বের ২২টি মোবাইল টিম। এছাড়াও র্যাব-পুলিশের সাদা পোশাকের পৃথক পৃথক বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক মাঠে মোতায়েন থাকবে। একটি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে পাঁচ জন সশস্ত্র পুলিশ ও ১২ জন আনসারসহ মোট ১৭ জন দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ভোট কেন্দ্র বিবেচনায় পুলিশ আলাদাভাবে নিরাপত্তা গ্রহণ করবে।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমদ জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র্যাবের মোবাইল টিমের পাশাপাশি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সাদা পোশাকের টিম মাঠে থাকবে।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। সিটি করপোরেশন হওয়ার পর এবার পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই মহানগরের আয়তন ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার। বর্ধিত ১৫ ওয়ার্ডসহ মোট ওয়ার্ড রয়েছে ৪২টি।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের বর্ধিত অংশ নিয়ে সিসিকে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭৩ জন। এবার পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন ভোটার রয়েছেন।
মতামত দিন