মোঃ আব্দুল কাদের, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
০৪.০৬.২০২১
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক শাহাদৎ হোসেন (২৯) মরণব্যাধী ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হেমাটোলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ ও রেডিওলোজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: সৈয়দা শওকত জেনির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংকটাপন্ন এই মেধাবী শিক্ষকের চিকিৎসার জন্য ৮০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
চাণক্য পন্ডিত বলেছেন,
"গুরু যদি একটি বর্ণ,
শিষ্যেরে শেখায় কোনদিন-
পৃথিবীতে নাই হেন দ্রব্য,
যা দিয়ে শোধ হবে ঋণ"।
একজন সম্ভাবনাময়ী তরুণ শিক্ষা গুরুর অমূল্য ঋণ কি আমরা মাত্র ৮০ লাখ টাকায় শোধ করতে পারি না?
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা নাসির উদ্দিন জানান, রংপুর সদরের মমিনপুর গ্রামের বর্গাচাষী আনারুল হকের দুই মেয়ে এবং এক পূত্র সন্তানের মধ্যে প্রভাষক শাহাদৎ হোসেন সবার ছোট। সদ্য বিবাহিত তিনি ৩৭তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের একজন সদস্য। সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান তিনি। বর্তমানে দূরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। জরুরী ভিত্তিতে তাকে সিঙ্গাপুর অথবা ভারতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। তার চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ৮০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু নিজে বা দরিদ্র পিতার পক্ষে এত টাকা সংকুলান করা অসম্ভব। এমতাবস্থায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ পরিবার তাকে ৬ লক্ষ টাকা সহায়তা দিয়ে চিকিৎসা ব্যয় মেটাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা ব্যয়ে বিপুল পরিমান অর্থ যোগান দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মানবদরদী দেশবাসীর কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
হায়াৎ মামুদ লিখেছেন,
বাপ মাত্র জন্ম দিলো-
গুরু দিলো জ্ঞান,
অন্ধের তরে যেন-
দিলো চক্ষু দান।
দেশের মানুষ গড়ার কারিগর, অন্ধের চক্ষুদাতা একটি অসহায় পরিবারের একমাত্র অবলম্বন প্রতিভাবান এই শিক্ষাগুরুকে বাঁচাতে আমরা কি যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত সহযোগীতার হাত বাড়াতে পারি না?
আলেক জান্ডার বলেছেন-
আমার ২ টি ঋণ আছে। যথাঃ
১) পিতা-মাতার কাছে ঋণী, কারণ তাঁরা জন্মদিয়ে আমাকে পৃথিবীতে এনেছে।
২) শিক্ষকের কাছে ঋণী, কারণ তাঁরা আমাকে শিক্ষা দিয়ে পরিপূর্ণতা দিয়েছে।
আমরাও কি আমাদের সন্তান, ভাই-বোন কিংবা চাচা-ভাতিজাদের জীবনে পরিপূর্ণতা প্রদানকারী একজন শিক্ষকের জীবন মাত্র ৮০ লাখ টাকার বিনিময়ে পরিপূর্ণ করতে পারি না?
হ্যাঁ পারি, এজন্য প্রয়োজন একটু সহানুভূতি, একটু মানবিকতা আর একটু মমত্ববোধ। সেইসাথে প্রয়োজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটু হস্তক্ষেপ।
মানুষ মানুষের জন্য এই বিবেচনায় প্রভাষক শাহাদৎ হোসেন’র চিকিৎসায় অর্থ সংগ্রহে বর্তমানে সোনালী ব্যাংক, কুড়িগ্রাম শাখায় ‘শাহাদৎ হোসেন চিকিৎসা সহায়তা তহবিল’ নামে একটি হিসাব খোলা হয়েছে।
যা কলেজের অধ্যক্ষসহ আরও দু'জন কর্মকর্তাকে সিগনেটরী রাখা হয়েছে। তাকে সহযোগিতার জন্য হিসাব নং-৫২০৮৪০১০২৮৫২৪, রাউটিং নম্বর-২০০৪৯০৪০৭, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, কুড়িগ্রাম শাখা। বিকাশ নং-০১৭১৬৫৮৩৩৬৯ এবং নগদ-০১৭১৬৫৮৩৩৬৯ নম্বরে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
মতামত দিন