• ২০২৫ Jul ০১, মঙ্গলবার, ১৪৩২ আষাঢ় ১৭
  • সর্বশেষ আপডেট : ০২:০৭ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের তীর্থপীঠ পরিদর্শনে নরেন্দ্র মোদি

  • প্রকাশিত ০৩:০৭ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, Jul ০১, ২০২৫
ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের তীর্থপীঠ পরিদর্শনে নরেন্দ্র মোদি
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের প্রধান তীর্থপীঠ শ্রীধামে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি হরিচাঁদ ঠাকুর মন্দিরে পূজা দেন। পরে তিনি ঠাকুর পরিবারের সদস্য ও মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে নেওয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ শনিবার সকালে প্রথমে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরপুরী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে পূজা দেন মোদি। এরপর গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

নরেন্দ্র মোদির সফরকে ঘিরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ওড়াকান্দিকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া আসেন। টুঙ্গিপাড়ায় তাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাগত জানান। সেখানে নরেন্দ্র মোদি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাকায় ফিরে যাবেন নরেন্দ্র মোদি।

হরিচাঁদ ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধান পুরুষ এবং তিনি এ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। হিন্দুধর্মীয় সাধক ও মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুর গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

হরিচাঁদ ঠাকুর বাল্যকাল থেকেই ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ক্রমে বৃদ্ধি পায়। তিনি চৈতন্যদেবের প্রেম-ভক্তির কথা সহজ-সরলভাবে প্রচার করতেন। তাঁর এই সাধন পদ্ধতিকে বলা হয় ‘মতুয়াবাদ’। আর, এই আদর্শে যাঁরা বিশ্বাসী, তাঁদের বলা হয় ‘মতুয়া’। মতুয়া শব্দের অর্থ মেতে থাকা বা মাতোয়ারা হওয়া। হরিনামে যিনি মেতে থাকেন বা মাতোয়ারা হন, তিনিই মতুয়া। তবে মতান্তরে ধর্মে যার মত আছে, সেই মতুয়া।

বাংলাদেশের সব এলাকাতেই মতুয়ারা বাস করেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, আন্দামান প্রভৃতি স্থানেও মতুয়ারা রয়েছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর ঠাকুরবাড়ি ও মতুয়া ধাম বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ তীর্থকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুর ওড়াকান্দিতে জন্মেছিলেন বলে মতুয়া সম্প্রদায়ের বিশেষ আবেগ জড়িত। মতুয়াদের একটা বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলায় বসবাস করে। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার ও বর্ধমানের কিছু এলাকায়ও আছেন অনেকে।

সর্বশেষ