রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদত্যাগে বাধ্য করা বা অপসারণের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরে সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানান।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি উঠেছে এবং এ লক্ষ্য আন্দোলন হচ্ছে। আবার একটি রাজনৈতিকদল রাষ্টপ্রতির পদত্যাগের কারণে সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে এমন কথা বলছে। আবার তাদের নেতাদের মধ্যে এ বিষয়ে মত-ভিন্নতা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষযে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা হচ্ছে। আশা করি রাজনৈতিকদলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে আমরা মতৈক্যে পৌঁছাতে পারব।
উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে দাবি উঠেছে এবং দাবিটা ক্রমান্বয়ে জোরালো হচ্ছে। এটি গণদাবিতে রূপ নিচ্ছে বলে বিবেচিত হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সরকার গণঅভ্যুত্থানের ফসল। তাই প্রত্যেকটা বিষয় সংবিধানের আলোকে হবে কি না তা দেখার বিষয়। কতদিন সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না। এটি রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে গত এপ্রিলে শপথ নিয়েছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি সরাসরি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। তবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর তালিকায় তার নাম ছিল। কর্মজীবনে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় সম্পৃক্ত হয়েছিলেন।
মতামত দিন