০১.০৭.২০২১
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে ১ জুলাই ভোর ৬ টা হতে ৭ জুলাই রাত ১২ পর্যন্ত দেশজুড়ে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর প্রথম দিনে কুড়িগ্রামে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সেনা-বিজিবিসহ পুলিশকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য পুলিশ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে রিক্সা থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় ও রাস্তায় বের হবার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়া যারা বের হয়েছেন তাদেরকে কোন রকম শাস্তি ছাড়াই ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
এছাড়া বৃহঃবার(১ জুলাই) কুড়িগ্রাম শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্ণেল জামাল উদ্দিন, রংপুর ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ৩০ সেনার কুড়িগ্রামের অধিনায়ক মেজর আবুল হাসানাত, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, সদর ইউএনও নিলুফা ইয়াছমিন, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলামসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।
এসময় নিষেধ অমান্য করে মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা চালানোর দায়ে ৩ অটোচালককে দুইদিন করে জেল এবং মাস্ক না পড়া ও দোকান খোলা রাখার কারণে ব্যক্তি ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে কুড়িগ্রাম জেলায় ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ২ প্লাটুন বিজিবি ও পুলিশ বিভাগসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ মাঠে থাকবে। জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী মেজিস্ট্রেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি কুড়িগ্রামবাসীকে বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক ব্যবহার করা ও অতিজরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানান।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) খাঁন মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন,’সকাল থেকে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন নিশ্চিত করতে চেকপোস্টসহ মোবাইল ডিউটি পরিচালনা করছেন এবং মাক্স ব্যবহার কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে। ১ম দিন আমরা কঠোর না হয়ে লোকজনকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করছি।
উল্লেখ্য, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু দোকানপাট খোলা থাকলেও গাড়ির বহর দেখার সাথে সাথে সেগুলোর সাটার বন্ধ হয়ে যায়।
মতামত দিন