সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. রেজাউল করিম (পিপিএম) বলেছেন, মাজারের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে এবার ভক্তবৃন্দের প্রতি আমাদের আহ্বান, সবাই যেন মাজারে সিজদা প্রদানসহ সকল শিরকি ও বিদাআতি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন নারীরা পর্দার সঙ্গে অবস্থান করবেন।
পুলিশের বিভিন্ন টিম মাজার প্রাঙ্গনে সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানে থাকবে। সব অসামাজিক-অনৈসলামিক ও বিশৃঙ্খলার প্রচেষ্টা রুখে দিবে তারা। মাজার প্রাঙ্গনে চুরি-ছিনতাই ও প্রতরণামুলক কর্মকাণ্ড রোধেও কাজ করবে পুলিশ। সাদা পোশাকে অবস্থান করবে আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেউ যেন মদ-গাঁজার আসর না বসান। এসব বিষয় তদারকটি কমিটি সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখবে। এবার শাহজালাল (র.) মাজারের ওরস আরও সুশৃঙ্খল ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্নের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) বাদ আসর মাজার প্রাঙ্গনে অনুষ্টিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মশতাক আহমদ খান, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাব, হযরত শাহজালাল (র.) তাওহিদি কাফেলার সদস্যসচিব মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ,হযরত শাহজালাল রহ তাওহীদি কাফেলা যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ খাসদবিরী প্রমুখ।
এছাড়াও সেনাবাহিনী ও র্যাব-৯ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মাজার কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ কর্তৃক গঠিত ওরস তদারকি কমিটির নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং শেষে মাজার ও মাজার প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এসএমপি কমিশনার। এসময় তিনি আলেম-সমাজ, মাজার কর্তৃপক্ষ, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ ও ১৯ মে শাহজালাল (র.) মাজারে ওরস অনুষ্ঠিত হবে। এরই মাঝে ভক্তবৃন্দ মাজারে আসতে শুরু করেছেন। অনেক ভক্ত নিয়ে এসেছেন গরু-ছাগলসহ মান্নতের জিনিসপত্র। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা।
মতামত দিন