২৯.০৭.২০২১
রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালিয়ে আসা একই পরিবারের ৭ জনসহ ৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার(২৮ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে সীমান্ত পাড়িয়ে দিয়ে ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে পালিয়ে আসা এই রোহিঙ্গাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৪জন শিশু, ২জন কিশোর, ১জন কিশোরী, ১জন পুরুষ এবং ১ জন নারী রয়েছেন। পরে তাদেরকে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনার মহামারি রোধে সরকারের দেয়া লকডাউন বাস্তবায়ন করার লক্ষে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের কাচুর মোড়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা গাঁদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। এসময় অটোকে থামানো হলে অটোরিক্সা থেকে দু’জন যাত্রি নেমে পালিয়ে যায়। অটোটিতে চালকসহ মোট ১২জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে দু’জন পালিয়ে যাওয়ায় ১০জন ছিল। এদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে যাত্রীরা স্বীকার করেন তারা রোহিঙ্গা। সলিম মিয়া নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাবার জন্য দু’দিন আগে ভূরুঙ্গামারী এসেছেন। পরে রাত ৯টার দিকে তাদেরকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আলমগীর হোসেন রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তারা এসেছেন। এদের মধ্যে একই পরিবারের ৭জনসহ ৯জনকে পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত আটক করেছেন। আটককৃতরা হলেন, কুতুব খালি-১৩ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুল খালেকে’র ছেলে ফইয়া সালাম(২৭),কুতুব আলম-২ ক্যাম্পের সিদ্দিকে’র ছেলে ইসমাইল হোসেন(১৮),ক্যামড়া বালু খালি-১৮ ক্যাম্পের মৃত: হাসেম আলী’র স্ত্রী সাবিকা খাতুন(৫০) ও ছেলে সন্তান নাছিম(১৫), রিয়াজ(১০), আছমিরা খাতুন(১৮), তাছমিনারা খাতুন(৭), রুমাজান খাতুন(৫) এবং ইসমাইল হোসেন(৩)কে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মতামত দিন