• ২০২৫ জানুয়ারী ৩০, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ মাঘ ১৭
  • সর্বশেষ আপডেট : ১১:০১ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ধ্বংসস্তূপ বি’বাড়িয়া : হেফাজতের নারকীয় তাণ্ডব

  • প্রকাশিত ১১:০১ অপরাহ্ন বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২৫
ধ্বংসস্তূপ বি’বাড়িয়া : হেফাজতের নারকীয় তাণ্ডব
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 চারদিকে শুধুই ধ্বংসের চিহ্ন। বাতাসে পোড়া গন্ধ। হেফাজতের ডাকা তিনদিনের কর্মসূচীকে ঘিরে এক ভয়াবহ অরাজকতা সৃষ্টি হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে আসছিলেন হেফাজত নেতারা। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তা-ব অনেকটাই পরিকল্পিত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বেছে বেছে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ব্যাপক ভাংচুরের পর কেপিআইসহ সরকারী বেশ কিছু স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন, জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপার কম্পাউন্ড, পৌরসভা, পৌর মিলনায়তন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, শিল্পকলা, শহর সমাজসেবা প্রকল্প কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের অফিস, বাসভবন ও তার শ্বশুর বাড়ি, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের সদর দফতরের গাড়ির গ্যারেজ, হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, আশুগঞ্জ টোল প্লাজার পুলিশ ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়া হয়। ২৭ মার্চ হরতালের পূর্বে সন্ধ্যায় শহরে তা-ব চালায় হেফাজতকর্মীরা। রাত প্রায় ৮টায় মাদ্রাসা সড়কে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন হতাহত হন। পরদিন হরতাল চলাকালে সকাল থেকে পুলিশ ও বিজিবি শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপুলসংখ্যক হেফাজতকর্মীকে শহরে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে অনেকটা মারমুখী হয়ে উঠে তারা। তাদের হাতে দা-লাঠি, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখা যায়। অদৃশ্য হয়ে যান সড়কে শহরে অবস্থানকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সুযোগে নারকীয় তা-ব চালায় হেফাজতীরা। সূত্র বলছে, তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বেশ কিছু বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কর্মী। আলোচনায় রয়েছে জেলার বাইরে থেকে শিবিরকর্মীরা যোগ দেয় হরতালে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে হাজার হাজার লোক প্রবেশ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনে ৫ দফা হামলা চালিয়েছে হামলাকারীরা। জেলার অন্যতম কেপিআই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের সদর দফতরে ৫ দফা হামলার পর বিকেল ৪টার দিকে গাড়ির গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

শুধু বই পোড়া গন্ধ ॥ বইয়ে বইয়ে পোড়া গন্ধ। হেফাজত তা-বে হামলাকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার। পুড়ে গেছে সব বই। বইগুলো দেখে অনেকেই এখন হাউমাউ করে কান্নাকাটি করছেন। তবে নতুনভাবে এই গণগ্রন্থাগারটি সাজানো হলেও অনেক বই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঘড়ির কাটায় দুপুর সাড়ে ১২টায় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল গণগ্রন্থাগারটির সব বই পুরো গণগ্রন্থাগার এখন অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি প্রতিষ্ঠান। নেই বিদ্যুত, নেই পানি। ফলে কোন বইয়ের দেখা মিলছে না। দুর্গন্ধে ভেতরেও প্রবেশ করা যাচ্ছে না। পুরো গণগ্রন্থাগারটি জুড়ে শুধু আছে কালো ধোঁয়া আর ধোঁয়া। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন পাঠক, কবি ও সাহিত্যিক এই চিত্র দেখে শুধু আর্তনাদ আর আহাজারি করছেন। তারা বলছেন, তাদের কোন প্রতিবাদের ভাষা নেই। কবি জয়দুল হোসেন বলেন, বই কারও শুত্রু কিংবা প্রতিপক্ষ হতে পারে না। বই সবার প্রিয়। তারপরও এই বই পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। করোনার সময় বন্ধ ছিল জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারটি। চলতি বছরের গত ৩ ফেব্রুয়ারি নতুন করে আবার চালু করা হয়। নতুন করে পাঠকরা আবার আসতে শুরু করে ছিলেন। তার মধ্যে আবার পুড়িয়ে দেয়া হলো জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারটি। কবে আবার নতুন বই কিংবা সংস্কার হবে তা কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না। এই গ্রন্থাগারে ২৩ হাজার বই ছিল। ১৯৮৩ সালে এর যাত্রা শুরু হয়। ২০১২ সালের ২৪ জুলাই নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়। গ্রন্থগারটিতে গবেষণা ধর্মী বই, রেফারেন্স বই, পুরাতন পত্রিকা ছাড়াও শিশু কর্নার, বঙ্গবন্ধু কর্নার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্নার, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন কর্নার ছাড়াও কবিতা ও সাহিত্যের হাজারো বই ছিল।

যে কারণে নীরব ছিল প্রশাসন ॥ দিনভর তা-বের পরও কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি? পুলিশ ও প্রশাসন কেন নীরব ছিলÑ এ প্রশ্ন এখনও মানুষের মুখে মুখে। সাধারণ মানুষ বলছে, পুলিশ এবং প্রশাসন আন্তরিক হলে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ও বিপুল প্রাণহানি এড়ানো যেত। কিন্তু সংশ্লিষ্টসূত্রগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, হরতালের দিন পুলিশ ও প্রশাসন আরও কঠোর হলে প্রাণহানি সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ত। কারণ বিশ্বরোড হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি পুড়িয়ে দেয়ার সময় সেখানে আটকাপড়ে ৭০ জন পুলিশ। পুলিশ সদস্যদের আর্তচিৎকারে ওয়্যারলেস সেটে থাকা কর্মকর্তারাও হতভম্ব হয়ে পড়েন। তাদের আশঙ্কা ছিল তারা হয়ত আর বাঁচতে পারবেন না। কেউ রক্ষা করবে না। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা যদি কৌশলী না হতাম তবে আরও মানুষের জীবন বিপন্ন হতো। হয়ত শত শত পুলিশের জীবন দিয়ে আমাদের প্রমাণ করতে হতো আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। এ জন্য রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছাকে দায়ী করেন তিনি। সরকারী নিদের্শনা না মেনে মিছিল করায় পরবর্তী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে একজন পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা জানান।

হামলার ঘটনায় ৭ মামলা দায়ের ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭টি মামলা হয়েছে। আরও কিছু মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় গত ২৭ মার্চ পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত সাড়ে ৬ হাজারকে আসামি করে ৩টি মামলা দায়ের করেন। ২৮ মার্চ ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার এহসান হাবীব ১টি এবং আনসার ও ভিডিপি অফিসে হামলার ঘটনায় আনসার ও ভিডিপির কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত সাড়ে ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে ১টি মামলা দায়ের করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি আবদুর রহিম জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত সদর থানায় ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ওপর টোলপ্লাজা ও টোলপ্লাজায় হামলার ঘটনায় এক কর্মচারী বাদী হয়ে ২৯ মার্চ ১টি মামলা করে। টোলপ্লাজা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় এসআই শিবাস চন্দ্র বাদী হয়ে ২৯ মার্চ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় ১টি মামলা করেন।

প্রাণহানি এড়াতেই নীরব ছিল প্রশাসনÑ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ॥ প্রাণহানি এড়াতেই প্রশাসন নীরব ছিল বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এনডিসি। জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য যে কৌশল নেয়া দরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। জীবন রক্ষা করাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অংশ। জানমাল রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নীরব ছিল, স্থানীয় সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার। সোমবার বিকেলে তিনি রেলস্টেশন, পৌরভবন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ হেফাজতের তা-বে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। কমিশনার বলেন, তা-বের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়িত্ব পালনে প্রশাসনের গাফিলতি আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্ত করে কার কতটুকু দায়িত্ব ছিল সেটা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকার নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনলেন সংসদ সদস্য মোকতাদির চৌধুরী ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তা-বের ঘটনার সময় প্রশাসন ও পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূূূমিকা ছিল বলে অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি হেফাজতের তা-বের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি জানান। এছাড়া তিনি নিষ্ক্রিয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, যেহেতু হরতাল হেফাজত ডেকেছে এসব তা-বের দায়দায়িত্ব হেফাজতকে নিতে হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, দিনভর হেফাজতের তা-বে টার্গেট করে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। তারা আমার বাড়ি ও আমার শ্বশুর বাড়িসহ আমার অফিস পুড়িয়ে ছাঁই করে দেয়। প্রাণ রক্ষার ভয়ে পরিবারসহ নিরাপদ জায়গায় থাকতে হয়েছে। আমার জীবনের অর্জন করা সব স্মৃতি তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বার বার অবহিত করলেও তারা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে পিবিআই ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী দফতরসহ রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেছে পিবিআই। মঙ্গলবার সকালে পিবিআই-এর একটি দল ক্ষতিগ্রস্ত পৌরসভা, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন দফতরের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআই-এর পরিদর্শক কামরুল হাসান জানান, প্রতিটি ঘটনাস্থলেই পিবিআই-এর কয়েকটি টিম কাজ করছে। ক্ষতি নিরূপণে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মরত লোকজনসহ আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের মানববন্ধন ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে ও দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করেছেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব থেকে এই কর্মসূচী শুরু হয়। প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিকদের একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ। প্রতিবাদ সভায় প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিসহ অন্যান্য সাংবাদিকের ওপর ও প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে হেফাজতের সকল প্রকার সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দেয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ