• ২০২৪ মে ০২, বৃহস্পতিবার, ১৪৩১ বৈশাখ ১৯
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ঝালকাঠিতে মাদ্রাসা পরিচালকের অনিয়মে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে

  • প্রকাশিত ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন বৃহস্পতিবার, মে ০২, ২০২৪
ঝালকাঠিতে মাদ্রাসা পরিচালকের অনিয়মে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ মাদ্রাসা ভবন
আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরে মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিজার করছে। উপজেলার উত্তর সাতুরিয়া ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা চলছে। 

জানাগেছে, এ মাদ্রাসাটি ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মাদ্রাসার নামে মৃত হাফেজ উদ্দিন এক একর পচাত্তর জমি দান করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত মাদ্রাসার পরিচালক হিসেবে মো. মফিদুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করে আসছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি শুরু থেকেই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ছাড়াই তার একক সিদ্ধান্তে মাদ্রাসা সবকিছু ভোগ করে আসছেন। মাদ্রাসায় হিসাবের কোন খাতা পত্রও নেই। এমনকি অধ্যাবধি মাদ্রাসার কোন কমিটি না থাকায় তার কোন জবাবদিহিতাও নেই। তাই তার খেয়াল খুশিমতো মাদ্রাসার সম্পদ যাকে যেমন দিয়েছেন। মফিদুল ইসলাম কাউকে কিছু না জানিয়ে দলিল দেয়ার কথা বলে মাদ্রাসার ১৩২ শতক জমি মৌখিক ভাবে স্থানীয় মোতালেব, শহিদ মোল্লা, হান্নান জমাদ্দার ও টুটুল জমাদ্দারের কাছে বিক্রয় করেছে। যার মধ্যে টুটুল জমাদ্দার ঐ জমিতে বাড়ি করে থাকতে শুরু করেছেন অনেক আগে থেকেই। এমনকি তিনি ঐ জমিতে কবরস্থানও তৈরি করেছেন। 

অভিযোগ রয়েছে, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলে গাছ পরে মাদ্রাসার অবকাঠামো ভেঙ্গে গেলে আজও তা ঠিক করেনি মফিদুল ইসলাম। ঐ থেকেই এলাকার শিশুরা কুরআন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসার অবকাঠামো না থাকায় খালি জমি পরে রয়েছে। মাদ্রাসাটি চালু করতে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত মাদ্রাসা প্রধান মো. মফিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, আমি দায়িত্ব নেয়ার আগেই কিছু জমি বেহাত হয়েছে। মাদ্রাসায় কি পরিমান জমি রয়েছে তা আমি জানিনা। আমার ভাইয়েরা মাদ্রসার ভবনের কাজ শুরু করেছে, কমিটিও তারা করবে। 

মাদ্রাসার জমিদাতাদের ওয়ারিশ মো. সেলিম হাওলাদার, মো. পান্নু হাওলাদার, মো. নান্নু হাওলাদার জানায়, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি গঠন করে বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারসহ পুনরায় মাদ্রাসাটি চালু করতে হবে। যাহাতে এলাকার শিশুরা কুরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়। 

সাতুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাইনুল হক নিপু বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে গ্রাম্য আদালতে শালিসবোর্ড গঠন করে মাদ্রাসার বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্ত মাদ্রাসার দায়িত্বে থাকা লোকদের কাছ থেকে অসহযোগীতার কারণে সামনে আগানো সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ