• ২০২৪ ডিসেম্বর ০৩, মঙ্গলবার, ১৪৩১ অগ্রহায়ণ ১৯
  • সর্বশেষ আপডেট : ১১:১২ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

বিশ্ব করনা ভাইরাস: ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করনার বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম ফাইজার ও অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা

  • প্রকাশিত ১১:১২ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
বিশ্ব করনা  ভাইরাস: ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করনার বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম ফাইজার ও অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকার দুইটি ডোজ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সক্ষম বলে একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।

এই দুইটি টিকার যে কোনোটির দুই ডোজ নেয়া হলে তা কেন্ট ওয়ান ভ্যারিয়েন্টের মত (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও সুরক্ষা দিতে পারে।

তবে প্রথম ডোজ নেয়ার তিন সপ্তাহ পরে এসব টিকা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৩৩ শতাংশ সক্ষম বলে দেখা গেছে। তবে কেন্ট ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এটি ৫০ শতাংশ সক্ষম বলে দেখা গেছে। গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড বলছে, হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু এড়াতে এসব টিকা আরও বেশি কার্যকরী বলে দেখা গেছে।

ফাইজারের টিকা দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর সেটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ ঠেকাতে ৮৮ শতাংশ কার্যকর বলে দেখা গেছে। আর কেন্ট ভ্যারিয়েন্ট (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট) ঠেকাতে সেটা ৯৩ শতাংশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে ৬০ শতাংশ কার্যকরী বলে দেখা গেছে। আর কেন্ট ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সেটি ৬৬ শতাংশ কার্যকরী। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (পিএইচই) বলছে, দুইটি ডোজের পর কার্যকারিতার এই পার্থক্যের কারণ হতে পারে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজটি ফাইজারের তুলনায় পরে দেয়া হয়ে থাকে। ফাইজারের টিকাটি অনুমোদন পেয়েছেও আগে। অন্যান্য তথ্যে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ সক্ষমতা লাভ করতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বেশি সময় লাগে।

পাঁচই এপ্রিল থেকে ১৬ই মে পর্যন্ত চালানো এই গবেষণায় ১২,৬৭৫ জনের ওপর গবেষণা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১,০৫৪ জন ছিলেন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, যেটি বি.১.৬১৭.২ নামে পরিচিত। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিষয়টি জানার পর গবেষণায় সব বয়সীদের তথ্য বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল।

কিন্তু ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে এসব টিকা সক্ষম হলেও সেই সক্ষমতার মাত্রা কতটা, তা বোঝার মতো যথেষ্ট তথ্য গবেষণায় ছিল না বলে পিএইচই জানিয়েছে।

সুতরাং, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রজেনেকার এই উচ্চ মাত্রার সুরক্ষা দেয়ার ক্ষমতা সবাইকে অনেক বেশি আশ্বস্ত করে তুলেছে। কারণ বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, এগুলোর মাধ্যমে ভাইরাসকে পরাজিত করা যাবে।


সর্বশেষ