• ২০২৪ নভেম্বর ২২, শুক্রবার, ১৪৩১ অগ্রহায়ণ ৮
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন বিষয়ে সিলেট সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

  • প্রকাশিত ০৯:১১ পূর্বাহ্ন শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন বিষয়ে সিলেট সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
টাইম বাংলা
শহীদুর রহমান জুয়েল ( সিলেট জেলা প্রতিনিধি)

জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ডা : মনিসর চৌধুরী সিভিল সার্জন সিলেট।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সঙ্গে  মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী জানান, দেশব‍্যাপী অনুষ্ঠিত হবে  জাতীয় ভিটামিন ‘এ' প্লাস ক্যাম্পেইন।

আগামী মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এ ক্যাম্পেইনে সিলেট জেলায় ৪ লাখ ৩৪ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ' প্লাস ক্যাপসুল।

পরে মূল প্রেজেন্টেশনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. স্নিগ্ধা জানান, আগামী ১২ ডিসেম্বর দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ' প্লাস ক্যাম্পেইন সারাদেশে পালন করা হবে। সিলেট জেলায় মোট স্থায়ী কেন্দ্র ১৩টি এবং অস্থায়ী কেন্দ্র ২৪০০টি। এই কেন্দ্রগুলোতে ১২ ডিসেম্বর  ৬-১১ মাস বয়সী ৪৭,৬৫৫ জন শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ' ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩,৮৬,৪৩১ জন শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।’

মতবিনিময় সভায় আরও জানানো হয়- শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা,স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন 'এ' অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি । ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা থেকে শুরু করে জেরোপথ্যালমিয়া র মত রোগ হতে পারে যাতে চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ লোপ পেতে পারে । এছাড়া ভিটামিন এ এর অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল বৃদ্ধি পায়, রক্তাল্পতা দেখা দেয় ও ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায় ।


আরও বলা হয়- জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা তাই সম্পূরক খাদ্য হিসেবে বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। কোভিড ১৯ প্রেক্ষাপটে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে কারন ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খেলে কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এ লক্ষ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশু দের জন্য নীল ক্যাপসুল ( ১ লক্ষ ইউনিট ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশু দের জন্য লাল ক্যাপসুল (২ লক্ষ ইউনিট ) খাওয়ানো হবে ।


এছাড়া জন্মের পর পর ই নবজাতককে শাল দুধ খাওয়ানো, জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শিশু কে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো, শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে বুকের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি অন্যান্য সুষম খাবার খাওয়ানো, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ সবুজ শাক সবজি ও হলুদ ফল মূল খাওয়ানো এবং রান্নায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ব্যবহার করা এ সকল পুষ্টি বার্তা ও প্রদান করা হবে।

সর্বশেষ