শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অনেকেই। ওজন কমানোর জন্য অনেক পন্থাও মেনে চলেন। কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হয় না। অনেকে আবার কম সময়ের মধ্যে ওজন কমাতে চান। কিন্তু ১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে তা সম্ভব হয় না।
তবে শরীরচর্চা ও ডায়েটের হাত ধরলে অল্প দিনেই কিছুটা হলেও ওজন কমিয়ে ফেলা যাবে। বিশেষ করে, সকালের নাস্তায় কয়েকটি পরিচিত খাবারকে জায়গা করে দিলে মেদ ঝরবে তরতরিয়ে।
সুতরাং আর সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব এমনই কযেকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন, যেগুলো নিয়মিত সকালের নাস্তায় খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই ওজনের ভার কিছুটা হলেও কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
ওটস থাকুক পাতে
চটজলদি ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকলে আপনাকে সকালের নাস্তায় ওটস খেতেই হবে। এই খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা ওজন কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, ওটস হলো ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়ামের খনি।
তাই নিয়মিত ওটস খেলে যে দেহের হাল-হকিকত বদলে যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য! সুতরাং সুস্থ থাকতে নিয়মিত সকালের নাস্তায় এই গোটা দানাশস্যকে জায়গা করে দিন। তাতেই ফল পাবেন হাতেনাতে।
সিদ্ধ ডিমের জুড়ি মেলা ভার
ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখতেই হবে। যে কোনো ধরনের প্রোটিন রিচ খাবারের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী প্রোটিনের উৎস হলো ডিম। তবে এখানেই শেষ নয়, এতে রয়েছে আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন বি১২, ফোলেটের ভাণ্ডার, যা ওজন কমানোর পাশাপাশি একাধিক রোগের ফাঁদ এড়াতেও সাহায্য করে।
তাই আজ থেকে প্রতিদিন সকালে উঠে একটি বা দুটি সিদ্ধ ডিমের সাদা অংশ খেতে ভুলবেন না যেন! এতেই ওজনের কাঁটা হবে নিম্নমুখী।
রুটি, সবজির জুড়ি মেলা ভার!
আটার রুটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, যা ওজন কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই দিনের শুরুটা রুটি দিয়ে করলে মন্দ হবে না। রুটির সঙ্গে খেতে পারেন একবাটি মৌসুমি সবজি। এসব সবজির গুণেই দেহে ভিটামিন, খনিজের ঘাটতি মিটে যাবে।
এমনকি এতে মজুত থাকা ফাইবার দ্রুত গতিতে ওজন কমাতে পারে। তাই সকালের নাস্তায় রুটির সঙ্গে এক বাটি সবজি খাওয়া মাস্ট।
পেয়ারা ও আপেল থাকুক পাতে
আপেল ও পেয়ারায় রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার, যা দেহের ওজনের ভার কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা একাধিক রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলতে সাহায্য করে।
তাই সকালের নাস্তা করার মোটামুটি ঘণ্টা খানেক পর একটা আপেল বা পেয়ারা খান। এতেই কম সময়ের মধ্যে কিছুটা হলেও ওজন কমে যাবে। শরীর হয়ে যাবে আগের চেয়ে ফিট।
মতামত দিন