কয়েক সপ্তাহ ধরে হুমকি দিয়ে আসার পর ইরানে হামলা চালাল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে এ হামলা শুরু হয়। রাজধানী তেহরান এবং তার আশপাশের এলাকাগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো।
ইরানের রাষ্ট্র-চালিত ইরনা নিউজ এজেন্সি বলেছে, বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তেহরান প্রদেশের আশেপাশের আকাশসীমায় প্রতিপক্ষের লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে। সে কারণেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, তেহরানে এখন পর্যন্ত ইসলামিক রেভল্যুশন গার্ড কর্পস (IRGC) এর সামরিক কেন্দ্রে কোনো হামলা হয়নি। রাজধানীর পশ্চিম ও দক্ষিণে আইআরজিসির কোনো সামরিক কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।
এদিকে হামলা শুরুর পর আইডিএফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েল রাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে গত বেশ কয়েক মাস ধরে ইরানের ক্ষমতাসীন এবং তাদের অনুগত গোষ্ঠীগুলো যেভাবে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তার জবাব দিতেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি, কারণ আমাদের দায়িত্ব ইসরায়েলকে রক্ষা করা।”
ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দুই মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ ও এবিসি নিউজ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, কেবল ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাবে বিমান বাহিনী। দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেল খনিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে না।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোলুশ্যনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কয়েকটি ঘাঁটি ও স্থাপনায় আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলা, তবে সেসব ঘাঁটি-স্থাপানার বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্বাভাবিক রয়েছে জীবন-যাত্রা। বিমানসেবাও চলছে রীতিমতো।
ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (আইকেআইএ) সিইও সাঈদ চালন্দারি বলেছেন, বিমানবন্দরটি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে এবং কোনো নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটেনি। ফ্লাইট চালু রয়েছে।
মতামত দিন