• ২০২৫ Jun ১০, মঙ্গলবার, ১৪৩২ জ্যৈষ্ঠ ২৭
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:০৬ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

শিশুর নাকে বা কানে হঠাৎ কিছু ঢুকে গেলে করণীয়

  • প্রকাশিত ১১:০৬ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, Jun ১০, ২০২৫
শিশুর নাকে বা কানে হঠাৎ কিছু ঢুকে গেলে করণীয়
ফাইল ছবি
ডেস্ক রিপোর্ট

খেলতে খেলতে হঠাৎ করে অবুঝ শিশু নাকের ছিদ্রে বা কানের ফুটোর মধ্যে কিছু ঢুকিয়ে ফেলতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে নিজেরা খোঁচাখুঁচি করলে সমস্যা আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

শিশুদের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের শস্যদানা, যেমন– ছোলা, মটর, ধান অথবা পুঁতি বা ছোট বল, ছোট পাথরের টুকরা, শার্টের বোতাম, কাগজ,ধান, মুড়ি ইত্যাদি কানের ভেতর অথবা নাকে প্রবেশ করলে অভিভাবকরা হন্তদন্ত হয়ে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে ছুটে আসেন। এ ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে শিশুকে নিতে না পারলে বাড়িতে প্রথমেই বুঝতে চেষ্টা করুন, কানের মধ্যে যে জিনিসটি ঢুকেছে, সেটি জীবন্ত কিছু নাকি জড় পদার্থ।

কানে জড় পদার্থ (কটনবাড বা তুলার অংশ, ম্যাচের কাঠি, পুঁতির দানা, বল বিয়ারিং, পেনসিলের শিস, মুরগির পালক, ধান, ফলের বীজ, মুড়ি, চিড়া ইত্যাদি) ঢুকে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যেতে সামান্য দেরি হলেও অসুবিধা নেই। কিন্তু মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়া বা অন্য কোনো জীব কানে ঢুকে পড়লে সেটি মেরে ফেলতে চেষ্টা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কানে তীব্র আলোর টর্চলাইট ধরলে অনেক সময় জীবন্ত পোকামাকড় আলোর প্রতি সংবেদনশীল হওয়ায় বের হয়ে আসতে পারে।তাই প্রথমে কাউকে বলুন কানের ভিতরে টর্চলাইটের আলো ফেলতে। তা না হলে হাতের কাছে পাতলা তেল (সবচেয়ে ভালো অলিভ অয়েল/অলিভ অয়েল না থাকলে নারকেল তেল) ধীরে ধীরে ফোঁটায় ফোঁটায় কানের মধ্যে দিন। তেলটা যাতে সহজে ভেতরে যেতে পারে, সে জন্য কানের লতি আগপিছ করতে পারেন। তেলের জন্য পোকাটা মরে যাবে। ফলে ব্যথা বা অস্বস্তি কমে যাবে। এরপর দ্রুত শিশুকে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

যা করবেন না

কানের ভেতরে ঢুকে যাওয়া কোনো বস্তু নিজেরা বের করার চেষ্টা করলে অনেক সময় কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে যায় অথবা কানের ভেতরে/বহিঃকর্ণে ক্ষত হয়ে যায়।

আর নাকের মধ্যে জড় পদার্থ বা জীব– যাই আটকে যাক না কেন, সেটি বের করতে বাড়িতে কোনো ধরনের চেষ্টা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ, আপনার খোঁচাখুঁচির ফলে নাকের ভেতর দিয়ে জিনিসটি শিশুর শ্বাসনালিতে চলে যেতে পারে। এতে শিশুর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। আবার দেখা যায় কোনো ছোট বাচ্চার নাকের এক পাশ দিয়ে হয়তো দুর্গন্ধ আসছে সাথে এক পাশ বন্ধ আছে, এক পাশের সর্দি কমছেই না -এই ক্ষেত্রে প্রথমেই সন্দেহ করতে হবে কারো অগোচরে সে হয়তো নাক দিয়ে কিছু ঢুকিয়েছে। নাকের ভিতরে ঢুকে যাওয়া পুরাতন ফরেইন বডি যখন পঁচে, এখান থেকে দেখা যায় দুর্গন্ধ হয়।


চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে শিশুকে ধীরে ধীরে শ্বাস গ্রহণ করতে বলুন। শিশুর সামনে নিজে অস্থির হয়ে চেঁচামেচি, কান্নাকাটি করবেন না। এতে সে ভয় পেয়ে যাবে।


লেখক : ডা: মো: আব্দুল হাফিজ শাফী এফ সি পি এস(ইএনটি), নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং হেড-নেক সার্জন,

আবাসিক সার্জন(ইএনটি), সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।

সর্বশেষ