সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিন কারাগারে!
মতিউল ইসলাম (মতি)
কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২ টার দিকে রুহুল আমিন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মো. আবদুর রহিম বলেন, আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির হন। এ সময় তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জামিনের আবেদন করেন।আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে বিকেলে তাঁকে আদালত থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
আদালত ও দুদক সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১ হাজার ৪১৪ একর জমিতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা জমির চিংড়ি, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর বিপরীতে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ২৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়িঘের দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা। এ থেকে নানা কৌশলে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর মাতারবাড়ির ব্যবসায়ী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলমসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে সাবেক জেলা প্রশাসকসহ ৩৬ জনের জড়িত থাকার বিষয়টি দেখতে পায়। গত ৩ এপ্রিল তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে তারা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
মতামত দিন