কক্সবাজার বিতর্কিত ৫১ একর দখল মুক্ত করবে উপদেষ্টা সৈয়দ রেজওয়ানা হাসান
মতিউল ইসলাম (মতি)কক্সবাজার প্রতিনিধ
কক্সবাজারে অতীত ও দখলবাজের সংখ্যা বেড়ে চলছিল এখনো চলছে, সাংবাদিকরা বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করলেও তা পাত্তা দেয়নি রাজনৈতিক সেন্টিগ্রেডরা।বিভিন্ন সময় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন সংবাদকর্মীরা। যার সুবিধা গ্রহন করেছেন মধু খাওয়া রাজনৈতিক কর্মীরা, রাজনৈতিক ফঠ পরিবর্তন হলোও পরিবর্তন হয়নি কক্সবাজারের ভূমি গিলে খাওয়া মানুষরা।একদিকে সরকারি কর্মকর্তারা দখল মুক্ত করলেও অন্যদিকে সুবিধাভোগী রাজনৈতিক কর্মীরা নতুন স্থাপনা নির্মাণ করছেন।কিছু সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দালালের কারণে এই সুন্দর কক্সবাজারের দিন দিন মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান। কক্সবাজারের মানুষের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে যে সমস্ত সরকারি ভূমি প্রভাবশালীরা দখল করে গিলে খাচ্ছে, তা উচ্ছেদ করার একটি সুন্দর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন তা কক্সবাজার মানুষের জন্য একটি শোভনীয় সংকেত।
এবং বিতর্কিত ৫১ একর নিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান বলেছেন আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম কক্সবাজারের ডিসিকে ফোন করে এই বনের দখল মুক্ত করতে বলেছি।
উপদেষ্টা হওয়ার আগে বাঁকখালী নদীর জন্য পরিবেশকর্মী হিসেবে আসা হতো উল্লেখ করে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এ নদীকে দখল মুক্ত করা কক্সবাজারবাসীর অনেক দিনের দাবী।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকখালী নদী পরিদর্শনে এসে উপদেষ্টা একথা বলেন।
যেসব জায়গায় আদালতের স্থিতাবস্থা আছে সেগুলো আইনী ভাবে মোকাবেলা করা হবে জানিয়ে রিজওয়ান হাসান বলেন, ৪ মাস আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিরতার মধ্যে ছিলো, এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আশাকরি দ্রুতই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে প্রশাসন। তবে কবে থেকে তা বলবোনা, এতে করে দখলদাররা বার্তা পেয়ে যাবে।
কক্সবাজারের তথাকথিত উন্নয়ন থেকে সাড়ে ১২ হাজার বনভূমি বন বিভাগকে দিয়ে দেয়ার কথা জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অবস্থা দেখতে গিয়েছেন উল্লেখ করে রেজওয়ানা হাসান জানান, ওখানে যেভাবে করে নির্মাণ কাজ চলছে, এটা যদি লাগাম টেনে না ধরা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সিবীচ কিন্তু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সিবীচ হয়ে যাবে। এটা হতে দেয়া যাবেনা না।
সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান সোনাদিয়া দ্বীপ নিয়ে বলেন, এই দ্বীপ নিয়ে আগে কথা বলেছি এখন কাজ করছি। বিগত সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে পরিবেশ ও প্রতিবেশগত সংকটকে অস্বীকার করে বেজাকে দিয়ে দিয়েছিলো, এখন বেজা বলছে তাদের দরকার নাই। তাই ভূমি মন্ত্রণালয় আর দুই এক দিনের মধ্যে বনকে দিয়ে দেয়া হবে।
এই সরকারের সীমিত সময়ের মধ্যে কক্সবাজার নিয়ে এসমস্ত কাজ গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বলেও জানান বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মতামত দিন