• ২০২৫ অগাস্ট ০২, শনিবার, ১৪৩২ শ্রাবণ ১৮
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৬:০৮ অপরাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসির বিচক্ষণতায় অপহৃত শিশু তিন দিন পর উদ্ধার-আটক ১

  • প্রকাশিত ০৬:০৮ অপরাহ্ন শনিবার, অগাস্ট ০২, ২০২৫
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসির বিচক্ষণতায় অপহৃত শিশু তিন দিন পর উদ্ধার-আটক ১
File
মতিউল ইসলাম (মতি)

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসির বিচক্ষণতায় অপহৃত শিশু তিন দিন পর উদ্ধার-আটক ১


মতিউল ইসলাম মতি (কক্সবাজার) 


অপহরণ যেন নিত্য দিনের শীর্ষ সংবাদ,সম্প্রতি সময়ে অপহরণ  চক্রের সদস্যরা বেশ বেপরোয়া  হয়ে উঠেছে। তারই অংশ হিসেবে  এমন একটি দৃশ্য দেখা গেছে।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের রাঙ্গাঝিরি এলাকায় রাতের আঁধারে ৭ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। তবে পুলিশি অভিযানে শিশুটি উদ্ধার ও একজন অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, 

গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাত আনুমানিক ১২টা ১০ মিনিটের দিকে বাইশারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রাঙ্গাঝিরি এলাকার সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায় মুখোশধারী ৫-৬ জন অপহরণকারী। তারা টিনের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ৭ বছরের শিশুকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়।


পরদিন অপহরণকারীরা ভিন্ন নম্বর থেকে শিশুটির মা শাহেদা বেগমকে ফোন করে হত্যার হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।


ঘটনার পরপরই বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার মো.শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম (বার) এর নির্দেশে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ ও কাগজীখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একাধিক আভিযানিক দল দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। তার নাম রুহুল আমিন (২০), পিতা মো. হাসেম, মাতা রোকসানা বেগম, সাং–বৌঘাটা, ৬ নম্বর ওয়ার্ড, ঈদগড় ইউপি, রামু, কক্সবাজার।


বর্তমানে শিশুটি তার পরিবারের কাছে নিরাপদে রয়েছে।


এ ঘটনার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসরুরুল হক বলেন,অপহরণের বিষয়টি জানার পরপরই আমরা অভিযান চালাই। একজনকে গ্রেফতার করে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে। অপহরণের ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার মামলা নং ২ তাং ০২/০৮/২০২৫ ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৮ এবং দ:বি: ৪৪৭/৪৪৮/৩২৪/৩৪ রুজু করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং জনপ্রতিনিধিরা বলেন,এটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনা। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা চাই,এই চক্রের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক।


শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণের মতো ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারে  পুলিশের নজরদারি বাড়িয়েছে।

সর্বশেষ