• ২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০, বুধবার, ১৪৩২ ভাদ্র ২৫
  • সর্বশেষ আপডেট : ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুর্জয়ের নৈপুণ্য অপহরণের শিকার ৫ ভিকটিম উদ্ধার!!

  • প্রকাশিত ১২:০৯ পূর্বাহ্ন বুধবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫
টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুর্জয়ের   নৈপুণ্য অপহরণের শিকার ৫ ভিকটিম উদ্ধার!!
File
মতিউল ইসলাম (মতি)

টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুর্জয়ের   নৈপুণ্য অপহরণের শিকার ৫ ভিকটিম উদ্ধার!! 


মতিউল ইসলাম (কক্সবাজার) 


সম্প্রতি সময়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার পর পর টেকনাফের অপহরণের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ও সংখ্যায় রয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা টাকার বিনিময়ে যে কোন পরিস্থিতিতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। অপহরণ, গুম, এবং খুন তাদের নিত্য দিনের পেশা। তারই অংশ হিসেবে গত ৮ই সেপ্টেম্বর,২০২৫ 

কক্সবাজার টেকনাফ মডেল থানার আওতাধীন বাহারছাড়া তদন্ত কেন্দ্র ইউনিটের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস এর নেতৃত্বে এবং টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর দিক নির্দেশনায় সঙ্গীয় এস, আই মো. হাসান মিয়া ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে, টেকনাফ থানার মামলার নাম্বার-২৬ তাং ০৮/০৯/২৫

অপহরন মামলার ভিকটিম ১/আদনান (২১) পিতা -শফিউল আলম। ২/মোঃ হাসেম (২২)

পিতা-শফিক।  ৩/ রাফিয়া বেগম (৩০) স্বামী-আবু তাহের। ৪/ আছমা আক্তার (১৪) পিতা- আবু তাহের। ৫/ সাইফুল ইসলাম (১০) পিতা-আবু তাহের। উপরোক্ত ভিকটিম দের কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রাত ৩ঃ১০ ঘটিকার সময় বাহারছড়া ইউনিয়নের বড়ডেইল নামক এলাকা থেকে হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় ভিকটিমদের  উদ্ধার করা হয়েছে। 


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের সাথে জড়িত থাকা তিনজনকে আসামী করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। যার মামার নম্বর জিয়ার ২৬ টেকনাফ থানা ০৮/০৯/২৫ তারিখে মামলাটি রেকর্ড হয়।এবং আসামিরা হলেন,টেকনাফ জাহাজপুড়া ০৬ নং ওয়ার্ড, বাহার ছড়ার ইসমাইল  (৪৫), এবং শাপলাপুর ০২ নং ওয়ার্ড বাহারছড়ার আব্দুল হক মেম্বারের পুত্র মো.ফয়সাল,(৩০), ও জাহাজপুড়া ০৬ নম্বর ওয়ার্ড বাহারছড়ার কামরুল। তাদের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে। তাদের একটি বিশাল অপহরণ চক্রের বাহিনী রয়েছে। যেই বাহিনীর মধ্য দিয়ে প্রতিদিনের মতো অপহরণের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

ভিকটিমদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।


এ বিষয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফউদ্দীন শাহীন এর বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন,এই বিষয়টি যখন আমাকে জানানো হয়, আমি সাথে সাথে ডোন ক্যামেরা পাঠিয়ে দিয়েছি। অপহরণের শিকার পাঁচ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ, এবং দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে। পরবর্তী বিষয়গুলো প্রেস রিলিজের মধ্যে দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান প্রতিনিয়ত চলমান থাকবে। 


এই বিষয়ে টেকনাফ (ওসি) মো. নাজমুন নূর এর বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন, অপহরণের বিষয়ে এজেহার পাওয়ার সাথে সাথে  আমারা অভিযান শুরু করি। অবশেষে আমরা সফল হয়েছি, অপহরণ হওয়া পাঁচজনকে আমাদের পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এবং দুজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। 


এই বিষয়ে টেকনাফ বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ, দুর্জয় বিশ্বাসের বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন, উর্দ্ধতম কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে পাঁচজন অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের রশি দিয়ে হাত পা বাঁধা  কাপড় দিয়ে মুখ পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এবং দুজন অপহরণকারীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যান্য বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন  রয়েছে। এই ধরনের অভিযান আগামীতেও চলমান থাকবে।

সর্বশেষ