• ২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৩, শনিবার, ১৪৩২ ভাদ্র ২৯
  • সর্বশেষ আপডেট : ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

রামু চেইন্দা বন বিট কর্মকর্তা শুভ এর বিরুদ্ধে,ঘোষ বাণিজ্যের অভিযোগ!

  • প্রকাশিত ১০:০৯ পূর্বাহ্ন শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫
রামু চেইন্দা বন বিট কর্মকর্তা শুভ এর বিরুদ্ধে,ঘোষ বাণিজ্যের  অভিযোগ!
File
মতিউল ইসলাম (মতি)

রামু চেইন্দা বন বিট কর্মকর্তা শুভ এর বিরুদ্ধে,ঘোষ বাণিজ্যের  অভিযোগ! 


কক্সবাজার  প্রতিনিধি :


"বেশি বেশি গাছ লাগান, এবং পরিবেশ বাঁচান "সেই স্লোগান এখন বিলুপ্তের পথে। অবলুপ্ত ও ধ্বংসের পথে সরকারি পাহাড়, আবাসস্থল হারাচ্ছে বন্যপ্রাণী।আর কত সরকারি জমি,পাহাড়, এবং বনাঞ্চল বিলুপ্ত হলে ঘুম ভাঙ্গাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের?


তারই অংশ হিসেবে, কক্সবাজারের রামুতে চেইন্দা, পশ্চিম খন্দকার পাড়া মুড়াকাছায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ আবুবক্কর এর বিরুদ্ধে। উক্ত এলাকায়  আমাদের প্রতিবেদক ঘুরে দেখতে পাই,  ৪ টি  অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও গত শনিবার গভীর রাতে চেইন্দা সুইচগেইট এলাকায় সরকারি বনবিভাগের জায়গা দখল করে রাতারাতি দোকান ঘর  নির্মাণ করেছে। পাহাড় খেকো  ছৈয়দ আলম এর নেতৃত্বে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা সহ প্রতিযোগিতা দিয়ে দখল নিচ্ছে বন বিভাগের জায়গা।


আবার কয়েকটি স্থানে দখল করতে গিয়ে মারামারিও হচ্ছে।তবুও ঘুম ভাঙেনি বনবিভাগের কর্তৃপক্ষের।


১৯২৭ সালের সংশোধিত বন আইন এবং ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বা পরিচালনা করার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে  

রামুর চেইন্দা বিটের এলাকার চিত্র ভিন্ন। কাগজে-কলমে এ জায়গা সরকারি গেজেটভুক্ত রক্ষিত ও সংরক্ষিত বন হলেও সেখানে বনের জায়গা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। সরকারি বনভূমি জবরদখল এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করেই চলছে এ অবকাঠামো নির্মাণ।


এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ছৈয়দ আলম সহ কয়েকজন মিলে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। ওই সিন্ডিকেট ব্যক্তিরা নিজের মনে করে জোরদখল করে নিচ্ছে বন বিভাগের জমি। বন কেটে জমিতে তৈরী করছে পাকা বাড়ি।  জমিতে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি। যা এখন দেখলে মনে হয় না এটা বন ছিল।


স্থানীয়রা বাহিরের  লোকজনের কাছে দখলকৃত জমি চড়াও দামে বিক্রিও করছেন। দখলদার থেকে জায়গা কিনে নির্দ্বিধায় বাড়ি নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে লোকজন। এদিকে সবকিছু জেনেও না জানার ভান করতেছে চেইন্দা বিট কর্মকর্তারা।  বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে, একই এলাকার আবু বক্কর এর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা  গ্রহণ করছে। এবং মাটি কাটার অপরাধের স্থানীয় রহিম উল্লাহর  কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে কথিত বিট কর্মকর্তা শুভ। 


এই বিষয়ে চেইন্দা বিট কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার অফিসে যাওয়া হলে , তিনি অফিসে না থাকায় তার  বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবীরের বক্তব্য নেওয়া হলে তিনি বলেন, চেইন্দা বিট কর্মকর্তা এই ধরনের অভিযোগের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং যারা এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধেও শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সর্বশেষ