ঝালকাঠির রাজাপুরে হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের পরে মামলা এবং স্থানীয় সালিশ চলমান থাকা অবস্থায় বিক্রয়ের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে তারই নিকটাত্মীয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের হলরুমে সোমবার সকাল ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মো. মাকসুদুর রহমান। এসময় তার সাথে ছিলেন ভাতিজা মো. ফয়জুল্লাহ, মুহিব্বুল্লাহ জারিফ, নাফিস মাহমুদ অয়ন প্রমুখ। মাকসুদুর রহমান উপজেলা সদরের বাইপাস এলাকার মৃত এসাহাক তালুকদারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, হেফাজতের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ক্বারী বেলায়েত হোসেন ও আমরা একই বংশের লোক। তার পিতা আব্দুল শুক্কুর তালুকদার আমার চাচা এবং ক্বারী বেলায়েত হোসেন চাচাতো ভাই। ধর্মীয় মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা নোংড়ামি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ না থাকলে বুজতেই পারতাম না। গত ২০২০ সালের ৩০জানুয়ারী রাজাপুর মৌজার জেএল নং-৪৭, এসএ খতিয়ান নং- ১৬৬৯, দাগ নং- ৪৭৯৪, এ আমার ৫শতাংশ জমি মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে জোর করে দখল করে নেয়। অথচ এই জমির পরিবর্তে ৪৭৮০ দাগ থেকে মাদ্রাসার রাস্তার জন্য ৩শতাংশ এবং ৪৭৬৬ দাগ থেকে ৩শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছে। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হলে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা (নং-১৯৪/২০২০) চলমান রয়েছে।
মাকসুদুর রহমান কান্না জড়িত কণ্ঠে আরো জানান, সকলের ভক্তি, শ্রদ্ধা ও পছন্দের মানুষটি সাধারন মানুষের ধর্মভীরুতা ও সরলতার সুযোগে অর্জিত দান-ছদকার টাকা দিয়ে জোরপুর্বক জমি দখল করে মামলা পরিচালনার কাজে ব্যয় করছে। ক্বারী বেলায়েত হোসেনের চাপে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীও জানায়।
উল্লেখ্য, এর পুর্বেও জমি দখলের অভিযোগে ক্বারী মো. বেলায়েত হোসেনর বিরুদ্ধে অন্য ব্যক্তিদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অভিযুক্ত হেফাজত নেতা ক্বারী বেলায়েত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতে আমাকে জড়িয়ে এমনটা করা হয়েছে।
মতামত দিন