• ২০২৪ নভেম্বর ২৪, রবিবার, ১৪৩১ অগ্রহায়ণ ৯
  • সর্বশেষ আপডেট : ০১:১১ পূর্বাহ্ন
English
পরিচালনাপর্ষদ
আমাদের সাথে থাকুন আপনি ও ... www.timebanglanews.com

ঝালকাঠিতে মৃত্যু সনদে তারিখ নির্ধারন নিয়ে সংঘর্ষে আহত-১৪

  • প্রকাশিত ০৩:১১ পূর্বাহ্ন রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
ঝালকাঠিতে মৃত্যু সনদে তারিখ নির্ধারন নিয়ে সংঘর্ষে আহত-১৪
সংঘর্ষে আহত চারজন
আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরে মৃত্যু সনদে মৃত্যুর তারিখ নির্ধারন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৪ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার গালুয়া দুর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে।

আহতরা হলো উপজেলার গালুয়া দুর্গাপুরের মৃত আব্দুল রশিদ খানের ছেলে মো. সেকেন্দার আলী খান (৭২), মো. সেকেন্দার আলী খানের চার ছেলে মো. রিয়াদ (১৭), মো. ইমন (২৩), ইব্রাহীম (২৮), মো. ইমরান হোসেন (২৪). আমজেদ আলীর ছেলে মো. সালেক (৪৩), মৃত মীর মকবুল আলীর ছেলে মো. মীর মন্টু (৪৫), মজিবর হাওলাদারের স্ত্রী হামিদা (৩০), মো. হামিদ হাওলাদারের ছেলে মো. সবুজ (৩০), মো. শাহআলম হাওলাদারের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (১৮), মো. শামিম হাওলাদারের ছেলে মো. সাকিব (১৮), মো. দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী রুবি বেগম (৪০), মো. হামেদ হাওলাদারের স্ত্রী পারুল বেগম (৫০), মো. মোকাম্মেল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. মাহবুব এ চিশতী মাসুদ (৫০), মৃত মোকলেছুর রহমানের ছেলে মো. দুলাল হাওলাদার (৫০)। 

স্থানীয়রা জানায়, মুজাহার আলী হাওলাদারের মৃত্যু সনদ চেয়ে গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করে শামিম হাওলাদার। ঐ ব্যক্তির মৃত্যু তারিখ ঠিক নয় বলে একই এলাকার সেকেন্দার আলী খান আপত্তি দিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ইউনিয়ন পরিষদে। মৃত ব্যক্তির সঠিক মৃত তারিখ নির্ধারন করতে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ও বয়স্ক ব্যক্তিদের পশ্চিম গালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে উপস্থিত থাকতে নোটিশ করেন গালুয়া ইউপির চেয়ারম্যান। নোটিশ মতে ১৩ জানুয়ারি বিকালে নোটিশ প্রাপ্ত লোকজনসহ সেকেন্দার আলী ও শামিম স্কুলে উপস্থিত হয়। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাড়ি ফেরার পথে সেকেন্দার আলী তার প্রতিপক্ষ শামিমদের পথ আটকে দাঁড়ায়। খবর পেয়ে বাড়ির সবাই ছুটে আসলে উভয়ের মধ্যে মারামারি হলে উভয় পক্ষের ১৪জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উভয় পক্ষের চার জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ভর্তি করেন।

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ