আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা শহর মাইজদীতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং টাউন হল মোড় ও জামে মসজিদ মোড় এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে ওই মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের পদধারী কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। যদিও তাঁরা ওই সময় দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করছিলেন।
সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের টানা তিন মেয়াদের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘ ১৭ বছর দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর পদ হারান তিনি। ওই দিন কেন্দ্র থেকে জেলা আওয়ামী লীগের ৮৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
সেখানে সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম কে আহবায়ক, সাবেক সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহীন ও শহীদ উল্যা খান সোহেলকে যুগ্ম-আহবায়ক এবং নোয়াখালী-৪ সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীকে প্রথম সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে একরামুল মন্তব্য করেন, ‘ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর সবচেয়ে ঘৃণিত লোক এবং তিনি আওয়ামী লীগের অনেক ক্ষতি করে যাচ্ছেন।’ এছাড়াও জেলা আওমীলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে অবিশ্যই তিনি ফেসবুক থেকে তার ভিডিওটি সরিয়ে পেলেন।
একরামুলের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের সভা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল থেকে দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই সভা চলছিল। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ৮৭ জন সদস্যের মধ্যে প্রায় সবাই উপস্থিত আছেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম টাইমস বাংলা নিউজকে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় দলীয় লোকজন মানববন্ধন করেছেন। এ ছাড়া সাংসদের পক্ষের লোকজনও শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তবে এ নিয়ে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন আছে।
মতামত দিন